নান নিয়ে আরও কথা
এ অনুষ্ঠানে আমরা পালাক্রমে সিনচিয়াং ও তিব্বতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি, এর মাধ্যমে শ্রোতারা চীনের সুন্দর সিনচিয়াং ও সুন্দর তিব্বত সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাচ্ছেন। তাহলে দেরি না করে শুরু করি আমাদের আজকের অনুষ্ঠান। আজকে আমরা সিনচিয়াং নিয়ে কথা বলব।
উইগুরদের নানের অধিকাংশই ‘নান পিট’ বা নান উনুনে বেক করা হয়। বাড়ির উঠোনে বা দরজার সামনে নান পিট স্থাপন করা যেতে পারে। এই উনুনের বেশিরভাগ জ্বালানিই কাঠ। আজকাল জ্বালানি হিসেবে অ্যানথ্রাসাইটও ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন অঞ্চলে নান পিটের আকার-আকৃতি ও তৈরি উপকরণ আলাদা; প্রত্যেকের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নান পিটের আকার পরিবারের লোকের সংখ্যা অনুসারে নির্ধারিত হয় এবং এটি সাধারণত তিন প্রকার হতে পারে: বড়, মাঝারি, ও ছোট।
নান পিট সাধারণত উল ও মাটি দিয়ে তৈরি। প্রায় ১ মিটার উঁচু, একটি বড় জলের ট্যাঙ্কের মতো আকৃতির। বিশাল আকৃতির মাটির গড়ার মতো দেখতে নান পিটের মুখটা তুলনামূলকভাবে ছোট হয়। পিটের একদম নীচে আগুন জ্বালানো হয় এবং সেখানে একটি বায়ুচলাচল গর্তও রয়েছে।
দক্ষিণ সিনচিয়াংয়ের কিছু অঞ্চলে, স্থানীয় নাইট্রেট ব্যবহার করা হয় নান পিট তৈরিতে। উরুমচি ও অন্যান্য কয়েকটি শহরের বাসিন্দারা নান পিট তৈরি করতে ইট ব্যবহার করেন। গ্রামাঞ্চলে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে একটি নান পিট থাকে। এখানকার সকল নারী নান তৈরি করতে জানেন।
নান পিটে নান ভাজা ছাড়াও, উইগুররা কখনও কখনও এই পিটে মাটন বা ভেড়ার পা-এর কাবাব তৈরি করেন। নান পিটের তাপমাত্রা যখন নান তৈরির তাপমাত্রায় পৌঁছায়, তখন সাধারণত নানের গর্তের চারপাশে লবণের জল স্প্রে করা হয়। এর মূল কারণ নানকে পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য তাপমাত্রা সামান্য কমানো। একই সাথে, নান পিটের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এয়ার আউটলেট এবং এয়ার ইনলেট ব্যবহার করা হয়।