বাংলা

সিনচিয়াংয়ের নানের বিভিন্ন ধরন

CMGPublished: 2023-06-30 09:17:40
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এ অনুষ্ঠানে আমরা পালাক্রমে সিনচিয়াং ও তিব্বতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি, এর মাধ্যমে শ্রোতারা চীনের সুন্দর সিনচিয়াং ও সুন্দর তিব্বত সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাচ্ছেন। তাহলে দেরি না করে শুরু করি আমাদের আজকের অনুষ্ঠান। আজকে আমরা সিনচিয়াং নিয়ে কথা বলব।

নান বা নাং হাজার হাজার বছর ধরে চীনের পশ্চিমাঞ্চলের ইতিহাসের অংশ। এখন নানের পরিবার অনেক বড় হয়েছে। কমপক্ষে ২০০ ধরনের নান আছে সিনচিয়াংয়ে। সিনচিয়াংয়ের বিভিন্ন স্থানে নান তৈরির পদ্ধতিতেও আছে পার্থক্য। সেখানকার প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব অনন্য পদ্ধতি রয়েছে।

কাঁচামাল অনুসারে, নানকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: ময়দা নান এবং স্টাফড নান। এ ছাড়াও আছে মিষ্টি নান, নোনতা নান, তিলের নান, সবজি নান, কুমড়ো নান, লাউ নান, আলু নান, ফলের রস নান, আখরোট নান, ইত্যাদি।

নানকে তাদের আকৃতি অনুসারেও শ্রেণীবিভাগ করা যায়: গোলাকার, কলার আকৃতির, আঙ্গুরের আকৃতির, সাপের আকৃতির, পাখির আকৃতির, মাছের আকৃতির, কুমিরের আকৃতির নান হতে পারে।

সবচেয়ে বড় আকারের নান হল কুকা কাউন্টির ‘আইমাঙ্কে’ নান। এগুলো মাঝখানে পাতলা এবং প্রান্তভাগে কিছুটা মোটা। চাকার মতো বড়। কেন্দ্রে অনেকগুলো প্যাটার্ন আছে। ৪০ থেকে ৫০ সেমি ব্যাসের হয় এসব নান। এই ধরনের নানের জন্য গড়ে প্রায় ১ কেজি ময়দার প্রয়োজন। কুকা কাউন্টির ‘আইমাঙ্কে’ নান সবচেয়ে বড় পাতলা নান হিসেবে পরিচিত। সিসিটিভি-র ডকুমেন্টারি ‘এ বাইট অফ চায়না’-য় এই নানের উল্লেখ করা হয়েছে। প্রোগ্রামটি বলা হয়েছে, পশ্চিম এশিয়া থেকে চীনে গম এসেছে এবং সেই গমের আটা নান তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে যুগ যুগ ধরে।

সবচেয়ে ছোট নান হল ‘থুও খা সি’নান, যার ব্যাস একটি সাধারণ চায়ের কাপের মুখের আকারের মতো এবং প্রায় ২ সেন্টিমিটার পুরু; মিষ্টি এবং পুষ্টিকর। আর প্রায় সমান ব্যাসের, ৫ থেকে ৬ সেন্টিমিটার পুরু ও মাঝখানে গর্তওয়ালা এক ধরণের নান আছে যার নাম ‘গেজিড’ নান। এটি সব ধরনের নানের মধ্যে সবচেয়ে মোটাতাজা। যেহেতু ‘গেজিড’ নান আকারে ছোট, সংরক্ষণ করা সহজ এবং বহন করা সহজ, বেশিরভাগ উইঘুর মসৃণ পৃষ্ঠের ও বাদামী রঙের এই ধরনের নান খেতে বেশি পছন্দ করে।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn