বাংলা

চীনের শানতুং প্রদেশে অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার রক্ষার কাজ

cmgPublished: 2023-05-06 19:57:51
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

ওয়েইফাংয়ের ইয়াংচিয়াফু কাঠের বসন্ত উত্সব ছবি মিং রাজবংশ আমলের প্রায় ৬০০ বছর আগে এবং ছিং রাজবংশ আমলের প্রায় ৩০০ বছর আগে সারা চীনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। ইয়াংচিয়াফু কাঠের বসন্ত উত্সব ছবি থিয়ানচিনের ইয়াংলিউছিং ও সুচৌ'র থাওহুয়াউ’র সঙ্গে ‘চীনের তিনটি সবচেয়ে বিখ্যাত কাঠের বসন্ত উত্সব ছবি’ হিসেবে সুপরিচিত। ২০০৬ সালে চীনা রাষ্ট্রীয় পরিষদ ইয়াংচিয়াফু কাঠের ছবিকে প্রথম দফা জাতীয় অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের নাম-তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

ইয়াং নাই তং হলেন ইয়াংচিয়াফুতে অবস্থিত 'হ্যেসিংইয়ং' ছবি দোকানের ত্রয়োদশ প্রজন্মের প্রতিনিধি। তিনি সাংবাদিকদের কাছে কাঠের ছবি তৈরীর প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তি ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, "আমাদের ইয়াংচিয়াফু কাঠের ছবিতে সাধারণত পাঁচটি রঙ ব্যবহার করা হয়: লাল, হলুদ, সবুজ, নীল ও বেগুনি। এ পাঁচটি রঙ দিয়ে একটি সম্পূর্ণ কাঠের ছবি আঁকা হয়। ছবিতে যত রঙ থাকে, তত কাঠ প্রয়োজন হয়।"

ইয়াং নাই তং আরও বলেন, ইয়াংচিয়াফু কাঠের ছবি বিষয়ভিত্তিক। বর্তমানে ইয়াংচিয়াফু প্রতিবছর ২ হাজারেরও বেশি কাঠের ছবি তৈরী করে এবং সারা চীন ও বিশ্বের শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে তা বিক্রয় হয়।

প্রাচীন কাল থেকেই শানতুং প্রদেশ ঐতিহ্যবাহী লোকসম্পদে সমৃদ্ধ। ওয়েইফাং ছাড়াও, ইমেং এলাকার ফেই জেলার হাতের সূচিকর্ম আকর্ষণীয়। ফেই জেলার হাতের সূচিকর্ম শিল্পে ঐতিহ্যগত সূচিকর্মের ভিত্তিতে আধুনিক বৈশিষ্ট্য দেয়া যায়। এতে ঐতিহ্যগত লাল, সবুজ, গোলাপি ও কালো ছাড়াও চকচকে বিপরীত রং ব্যবহৃত হয়। ইয়াং নাই তং বলেন, “এ শিল্প হলো একটি 'মূল লক্ষ্য মনে রাখা' শীর্ষক হ্যেপাও। আমাদের প্রবীণ শিল্পীরা এটি ডিজাইন ও তৈরী করেছেন। আগে আমরা পাহাড়ি এলাকায় থাকতাম। কিন্তু এখন সরকারের সরবরাহ করা ভবনে থাকি। আমরা রাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু নিজের হৃদয় কখনও পরিবর্তন হবে না। এর খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে।”

শানতুং প্রদেশের হরেকরকমের ঐতিহ্যবাহী খাবার আছে। শানতুং হোটেলের প্রধান শেফ হু চং ছিয়াং বলেন, শানতুংয়ের খাবার চীনের চারটি প্রধান খাদ্যশৈলীর একটি। এতে প্রতিনিয়ত নতুনত্ব আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, “ঐতিহ্যবাহী শানতুং খাবার খেতে ভালো, কিন্তু দেখতে সুন্দর না। কিন্তু এখন আমরা কম লবণ, কম চিনি ও কম তেল দিয়ে আরও সুন্দর ও সুস্বাদু খাবার রান্না করছি।”

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn