বাংলা

মিসরের কায়রোতে চীনা সংস্কৃতিকেন্দ্র

cmgPublished: 2023-04-28 16:10:21
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

মিসরের রাজধানী কায়রোয়, পিরামিড সড়কের পশ্চিমে, সাদা রঙের পাঁচ তলা একটি ভবন রয়েছে। এটি হলো কায়রোয় চীনা সংস্কৃতিকেন্দ্র। এটি আরব বিশ্বে একমাত্র চীনা সংস্কৃতিকেন্দ্র।

২০০২ সালে নির্মিত হওয়ার পর থেকে কায়রো চীনা সংস্কৃতিকেন্দ্র চীনা সংস্কৃতি প্রচার ও দু'দেশের জনগণের মৈত্রীর সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে কায়রো চীনা সংস্কৃতিকেন্দ্র মিসর, তথা আরব বিশ্বে চীনা সংস্কৃতির ব্রান্ডে পরিণত হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমি এ নিয়ে কিছু কথা বলব।

কায়রো চীনা সংস্কৃতিকেন্দ্রে প্রবেশ করলে প্রথমে দেখা যায় কনফুসিয়াসের মূর্তি। দেয়ালে চীনা ছবিচিত্র ও লিপিকলা এবং গ্লাসকেসে রাখা ল্যাকুয়েওয়্যার ও চীনামাটির শিল্প দর্শকদের আকর্ষণ করে।

মিসরে চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কাউন্সিলর ও কায়রো চীনা সংস্কৃতিকেন্দ্রের পরিচালক শি ইউ ওয়েন বলেন, বিদেশে চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বিশ্বে চীনকে তুলে ধরতে ভূমিকা রাখছে। কায়রোয় চীনা সংস্কৃতিকেন্দ্র হলো নতুন যুগে প্রবেশের পর বিদেশে নির্মিত প্রথম চীনা সংস্কৃতিকেন্দ্র। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আরব বিশ্বের মধ্যে কায়রোয় প্রথম চীনা সংস্কৃতিকেন্দ্র গড়ে তুলেছি। কারণ, মিসরের গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থান রয়েছে। মিসরের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আছে। এ ছাড়া, মিসর বিদেশি সংস্কৃতির ব্যাপারে সহিষ্ণু। দেশটিতে বিদেশি সংস্কৃতির গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।’

বর্তমানে যেসব দেশ কায়রোতে সংস্কৃতিকেন্দ্র গড়ে তুলেছে, সেগুলোর মধ্যে আছে: ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। কোনো কোনো কেন্দ্রের আবার শতাধিক বছরের ইতিহাস রয়েছে। যদিও চীনা সংস্কৃতিকেন্দ্রের ইতিহাস দীর্ঘ নয়, তবুও বর্তমানে কায়রোয় এর প্রভাবশক্তি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সম্পর্কে শি ইউয়ে ওয়েন বলেন, "আমার মনে হয়, আমাদের সংস্কৃতিকেন্দ্র মিসর, এমনকি সমগ্র আরব বিশ্বে বিখ্যাত। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সংস্কৃতিকেন্দ্রগুলোর সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আমাদের ২০ বছরেরও কম ইতিহাস। তবুও আমাদের কেন্দ্র তাদের মতোই বিখ্যাত।"

123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn