বাংলা

ম্যাকাওয়ে চীনা গণমুক্তি ফৌজের গল্প

CMGPublished: 2023-01-15 11:38:07
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চেং ইয়ান খ্যে চীনা নামের ইতালির হাইস্কুলের শিখার্থী লাকোপো গের্মোলে (Iacopo Germolè) ২০১৯ সালে আয়োজিত ‘চীনা ভাষা সেতু’ শীর্ষক বিশ্ব হাইস্কুল শিখার্থী চীনা ভাষার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিন হন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বছরে তিনি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার পর তিনি আরো আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নিজস্ব চীনের উন্মুক্ত ও সমেত অনুভূতি করেছেন।

১৭ বছর বয়সী লাকোপো রোম সরকারি বসবাস বিদ্যালয়ের হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণীতে লেখাপড়া করছেন। ২০১৯ সাল হলো তাঁর অবিস্মরণীয় বছর। এ বছরে তিনি ইতালির পক্ষ থেকে চীনে দ্বাদশ ‘চীনা ভাষা সেতু’ বিশ্ব হাইস্কুল শিখার্থীদের চীনা ভাষা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। দুই সপ্তাহের প্রতিযোগিতা ১০৫ দেশের ১২৪জন শিখার্থ অংশ নিয়েছেন। তিনি প্রথম স্থান পেয়েছেন এবং তাঁর চীনা স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন

‘কারণ আমি বিশ্বাস করি, যত প্রচেষ্টা তত সাফল্য অর্জিত হবে। আমি ভাবছিলাম না, আমি বিশ্ব চ্যাম্পিন হবো। কিন্তু আমি ইউরোপের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিন লাভ করেছি। এর মাধ্যমে আমি মনে করেছিলাম, আমার আরো বেশি সাফল্য লাভ করার সামর্থ্য হবে। আমার মনে হয়, সবই সম্ভব। এছাড়াও এবারের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার তেরুণ তরুণীদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে। চীনা স্বেচ্ছাসেবক ও শিখার্থীরা অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ।’

লাকোপো ভালভাবে চীনা ভাষা বলতে পারেন। চীনা হাতের লেখা ও তাই চি অনেক জানেন তিনি। লাকোপো লেখাপড়ার রোম সরকারি বিদ্যালয়ে অনেক বিখ্যাত্। ২০০৯ সালে বিদ্যালয়টি বিশেষ করে চীনা ভাষার ক্রোস খুলেছে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ইতালি সফরের সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিখার্থীরা প্রেসিডেন্ট সিকে একটি চিঠি লিখেছেন। এরপর প্রেসিডেন্ট সি তাঁদেরকে চিঠি ফেরত পাঠিয়েছেন। তখন একজন সাক্ষী হিসাবে লাকোপো বলেন, তাঁরদেন চিঠিতে প্রেসিডেন্ট সিকে তাঁদের চীনা ভাষা শিক্ষার সুযোগ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন,

‘আমরা ভাবছিলাম না, প্রেসিডেন্ট সি আমাদেরকে চিঠি ফেরত পাঠিয়েছেন। আসলে আমরা তাঁকে আমাদের চীনা ভাষা শিক্ষা ও চীনকে জানানোর সুযোগ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। আমার মনে হয়, তাঁর চিঠির শেষ দিকে লেখা হয়, যৌবন এত সুন্দর, নিরাশ করা যায় না। তিনি আশা করেন, আমরা তরুণ তরুণীরা যৌথভাবে আরো সুন্দর বিশ্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করবো।’

২০১৯ সালে লাকোপো হান ভাষার উচ্চ পর্যায়ের ষষ্ঠ পর্যায়ের পরীক্ষা বাস করেছেন। এ বছরে তিনি হাইস্কুল থেকে স্নাতক হন। নিজের ভবিষ্যত্ সম্পর্কিত তিনি নিজের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে নয়া চীন প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী। ২০২০ সাল হলো ইতালি চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী। তিনি ভবিষ্যতে দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করবেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,‘আমি চীনে গিয়ে অব্যাহতভাবে চীনা ভাষা শিক্ষতে চাই। আমি চীনকে আরো বেশি জানতে চাই। চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রডকাস্ট হোস্ট বিভাগ আছে। কিন্তু ইতালির নেই। আমি চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিভাগে ভর্তি হতে চাই। আগে আমি জেনেছিলা না, দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের এত দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সেজন্য আমি ইতালির আরো বেশি যুবকদেরকে চীনকে জানানোর চেষ্টা করবো।’

পাঁচ বছরের আগে লাকোপো চীনা ভাষা শিক্ষা শুরু করি। তিনি প্রতি বছরে চীনে গিয়ে গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পনে অংশ নিতাম। আমি চীনের পান্ডা ও মহাপ্রাচীর ছাড়াও আমি এপসের মাধ্যমে শেয়ার সাইকল ও ফুট ডিলিভারি অডার করতে পারি। চীনে এত বেশি সুন্দর ও আধুনিক জিনিস আছে। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চীনের বিরাট পরিবর্তন ও উন্নয়ন বিশ্বের কাছে অত্যাশ্চর্য।

‘যেমন একটি ভাল চলচ্চিত্র দেখা। প্রথম বার দেখলে গল্প জানানো যায়। দ্বিতীয় বার দেখলে আরো বেশি ডিটালস জানানো যায়। তৃতীয় দেশলে আমি চলচ্চিত্র শুটিংয়ের প্রযুক্তি জানতে চাই। আমি প্রতি বার চীনে এসে নতুন জিনিস আবিশ্কার করতে পারি। আমার মা শাংহাইতে কাজ করেন। তিনি সবসময় বলেন, যদিও আমি চীনে কাজ করি, তবুও সবসময় নতুন জিনিস আবিশ্কার করতে পারি।’

লাকোপো বর্তমান চীন ও ইতালিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। তিনি সবসময় ব্যস্তে থাকেন। তিনি চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে হোস্টের কাজ করেছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমান তাঁর সাফল্য চীনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। এ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন,‘চীনা ভাষা শিক্ষার প্রথমে সবাই জানেন না আমি কেন চীনা ভাষা শিক্ষা করি। তাঁরের মনে এটি একটি সাহসী নির্বাচন।’ কিন্তু বর্তমান সবাই জিজ্ঞান করেন, চীন কেমন একটি দেশ? আপনি কি চীনে গিয়ে কাজ করবেন? আমার মনে হয়, বর্তমান আন্তর্জাতিক সমাজে চীনের ভূমিকা আরো গুরুত্বপূর্ণ। আমার আত্মবিশ্বাস আরো বেশি। আমার ভবিষ্যতে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। আমার মনে হয়, চীনা ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে আমার আরো বেশি সুযোগ হবে।’

২০২০ সালে রোম’র হাইস্কুলের শিক্ষার্থী লাকোপো হয়তো চীনের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করবেন। চীনা ভাষা তাঁর জীবনে সংযুক্ত হয়েছে। চীনা সংস্কৃতি বর্তমান তাঁর চিন্তাভাবনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn