তিব্বত: রান্নার পাত্রের পরিবর্তনে জনগণের জীবন পরিবর্তনের প্রতিফলন
২১ বছর বয়সী লুওসাং ইয়েশি ২০১৮ সালে লাসা দ্বিতীয় ভোকেশনাল অ্যান্ড টেকনিক্যাল স্কুল থেকে স্নাতক হন। সেই বছরের মার্চ মাসে, তিনি মাঝুগংকা জেলায় একটি তিব্বতি রেস্তোরাঁ খুলতে তার সমস্ত সঞ্চয় ব্যবহার করেন। তার তিব্বতি রেস্তোরাঁয় কাঠের ক্যাবিনেটের উপর বিভিন্ন মৃত্পাত্রের রান্নার বাসন রাখা আছে। "মাটির পাত্রের স্যুপের স্বাদ আরো ভাল হয় এবং সহজে ঠান্ডা হয় না।" লুওসাং ইয়েশি বলেছেন যে, তার দোকানের সমস্ত মৃত্পাত্র তাবা গ্রাম থেকে কেনা হয়েছে। তাবা লাসা শহরের মোঝুগংকা জেলার গোংকা থানার একটি ছোট গ্রাম। গ্রামবাসীরা বংশ পরম্পরায় মৃত্পাত্র তৈরি করে আসছেন। জানা গেছে, মোঝুগংকা জেলা ২০০৯ সালে তাবা সিরামিক কারখানা নির্মাণে বিনিয়োগ করে এবং ২০১১ সালে তাবা সিরামিক পেশাদার সমবায় প্রতিষ্ঠা করে। অনেক মৃৎশিল্প বিশেষজ্ঞ এখানে কাজ করেন এবং প্রশিক্ষণ দেন।
তিব্বত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞ ইয়েশে তেনজিন বলেন, রান্নার পাত্রগুলি কেবল খাদ্য সংস্কৃতির বাহক নয়, জীবনযাত্রারও সাক্ষী। মালভূমিতে রান্নার পাত্রের পরিবর্তন তিব্বতি জনগণের জীবনের পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে।