মৌমাছি পালকের সুন্দর ভবিষ্যৎ
মৌমাছি পালক তাহিরজান তোহতি (Tahirjan Tohti) হলেন চীনের সিনচিয়াংয়ের কাশগরের সাই গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাড়ি অনেক বড় এবং সুন্দর। কিন্তু আগে এতো ভালো ছিল না। তিনি বলেন,
“আগে আমাদের বাড়িঘরের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। আমাদের জীবনযাত্রার মান ছিল নিম্ন পর্যায়ের। সমবায় প্রতিষ্ঠার পর আমাদের জীবন অনেক বদলে গেছে। আমরা নতুন বাড়িঘরে স্থানান্তরিত হয়েছি, ওয়াশিং মেশিন ও রেফ্রিজারেটর কিনেছি। এ ছাড়া, আমরা গাড়িও কিনেছি।”
তাহিরজান তোহতি মৌমাছি পালন করছেন ১৮ বছর ধরে। কিন্তু আগে একা মৌমাছি পালন করার কারণে মধু উত্পাদনের পরিমাণ খুবই কম ছিল এবং মধু বিক্রি করতে গিয়েও নানান ঝামেলা পোহাতে হতো।
২০১৯ সালে সাই গ্রামে থুহা তেল কোম্পানির কর্মগ্রুপের সহায়তায় তাহিরজান তোহতি ও তাঁর বড় ভাই কাদির তোহতি একটি মৌমাছি পালন কোম্পানি গড়ে তোলেন। তাঁরা মৌমাছি পালন ছাড়াও প্রশিক্ষণ দেন। তাঁর কোম্পানি বিভিন্ন ধরণের মৌমাছিসংশ্লিষ্ট পণ্য উত্পাদন করে। তাঁদের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে।
স্ত্রী আভাগুল মেমেত স্বামী তাহিরজান তোহতিকে অনেক সমর্থন করেন। তিনি মধুর নিত্যনতুন বাজার খোঁজার দায়িত্ব পালন করেন এবং উইচ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করতে শেখেন। এ সম্পর্কে আভাগুল মেমেত বলেন,
“আমাদের সমবায়ের মধু পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয়। কাশগর ছাড়াও আমাদের মধু সিনচিয়াংয়ের ভিতরে ও বাইরে অনেক জায়গায় বিক্রি হয়। সিনচিয়াংয়ের আর্তুশ ও জিয়া শি এবং কানসু, বেইজিং, ছুছিং, ইত্যাদি এলাকায় আমাদের মধু যায়। আমরা উইচ্যাটের মাধ্যমে এসব জায়গায় মধু বিক্রয় করি। আমাদের মধু অনেক জনপ্রিয়। আমি এখন আমার জীবন নিয়ে খুব সন্তুষ্ট। এটা করতে মজা আছে।”
তাহিরজান তোহতি বলেন, সমবায় প্রতিষ্ঠা তাদের জন্য বাস্তব সুবিধা নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন,