লয়েস মালভূমিতে আপেল টাউন
প্রশস্ত রাস্তার পাশে সারি সারি বৃক্ষ। সৌরশক্তি দিয়ে চালিত বাতিগুলো রাস্তার দুপাশে বসানো হয়েছে। দূরে লাল ফল ও সবুজ পাতা দেখা যায়। তাতে শরৎকালে লয়েস মালভূমি প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি চীনের সায়ান সি প্রদেশের ওয়েই নান শহরের হ্য ইয়াং জেলার কান চিং উপজেলায় একটি সুন্দর গ্রামীণ পুনরুত্থানের নকশা সবার সামনে হাজির হয়েছে।
লেই সিয়াং মিং
কান চিং উপজেলা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৮০০ মিটারের বেশি উঁচুতে অবস্থিত। এটি আপেল চাষের জন্য অন্যতম উপযোগী অঞ্চল। কান চিং উপজেলার ৬২ বছর বয়সী ফল চাষি লেই সিয়াং মিন বলেছেন, ‘বিংশ শতাব্দীর ৯০-এর দশকে আমাদের উপজেলার আপেল বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছে। তবে আপেল চাষের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে “বেশি পরিমাণে ভালো আপেল কম’ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
লেই সিয়াং মিন বলেছেন, ‘প্রযুক্তি ভালো না। বাজারও নেই। আপেল চাষে প্রতিবছর ক্ষতি বাড়ে। ২০১২ সাল থেকে আধুনিক কৃষি উদ্যান গঠনকাজ কান চিং উপজেলার আপেল শিল্পের জন্য নতুন চালিকাশক্তি যোগিয়েছে। পাশাপাশি, এ উদ্যান স্থানীয় ফল চাষিদের সমৃদ্ধির মূল শক্তিতে পরিণত হয়েছে।’
বর্তমানে কান চিয়াং উপজেলার সিং চুয়াং গ্রামে আপেল চাষের দৃষ্টান্তমূলক উদ্যানে অনেক বিস্ময়কর দৃশ্য চোখে পড়ে। স্বয়ংক্রিয় শুঁটকি সেচ এবং সার যন্ত্র বসানো হয়েছে। একটি ফল গাছ থেকে অপর গাছের দূরত্ব ৩ মিটার থেকে কমিয়ে ১.৫ মিটারে আনা হয়েছে। তবে, চওড়া চার মিটার রাখা হয়েছে, যাতে বড় যন্ত্রের কাজের জন্য সুবিধাজনক হয়। লেই সিয়াং মিন বলেন, ফল প্যাকেজ করা এবং ফল তোলাসহ অনেক কাজে এখন মানুষের প্রয়োজন হয় না।
প্রযুক্তি নবায়ন ও ঝুঁকি প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক উন্নত হয়েছে। কান চিং জেলার ফল শিল্পের কর্মকর্তা হাও চি লুং বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উপজেলার সরকার তিনটি শিলাবৃষ্টি প্রতিরোধক কেন্দ্র বাড়িয়েছে এবং বিনা পয়সায় ফল চাষিদের শিলাবৃষ্টি প্রতিরোধক নেট সরবরাহ করেছে। পাশাপাশি, কৃষি বিমা জোরদার করে চাষিদের ঝুঁকি প্রতিরোধ দক্ষতা উন্নয়ন করেছে স্থানীয় সরকার।