বিশ্বের সঙ্গে চীনের যোগাযোগ
বর্তমানে চীনের সঙ্গে বিশ্বের পণ্যবাণিজ্য দশ বছর আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের প্রায় ১৩.৫ শতাংশ দখল করে আছে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য। বর্তমান চীন আরও গভীরভাবে বিশ্বের সরবরাহ-চেইনের সঙ্গে মিলেছে। প্রতি মিনিটে গড়ে ৭.২৪৯ কোটি ইউয়ান পণ্য চীন থেকে রপ্তানি ও চীনে আমদানি হয়।
প্রতিবছরের সেপ্টেম্বরে জার্মান হেলিকপ্টার, ইতালির রুটি, ভানুয়াতু কফি ও নিউজিল্যান্ডের মধু নৌ, বিমান ও রেলপথের মধ্য দিয়ে একই গন্তব্যে পৌঁছায়। আর সেটা হলো শাংহাই।
২০১৮ সালের নভেম্বরে যখন বাণিজ্যে সংরক্ষণবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, তখন চীন সমস্ত বিশ্বের পণ্যের জন্য চীনের বিরাট বাজার খুলে দেয়। মার্কিন ব্যবসায়ী ওয়েন মেসিক (Owen Messick) বলেন, চীনের প্রথম আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় অংশ নেয়ার পর তাঁর কোম্পানির জন্য অনেক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
মার্কিন ডোটেরা কোম্পানির চীনে চেয়ারম্যান (TERRA China) ওয়েন মেসিক বলেন, “আমাদের কোম্পানির মতো ক্ষুদ্র কোম্পানি চীনে অনেক সুযোগ পেয়েছে। চীনের যথেষ্ট বড় বাজার আছে।”
দশ বছরে চীন নিজেকে বিশ্বের জন্য আরও উন্মুক্ত করেছে। চীনে পরীক্ষামূলক অবাধ বাণিজ্যিক এলাকা এক থেকে ২১টিতে পৌঁছেছে। এলাকাগুলোর আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ সমস্ত চীনের ১৭.৩ শতাংশ এবং আকর্ষিত বিদেশী বিনিয়োগ গোটা চীনের ১৮.৫ শতাংশ।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবছর প্রকাশিত ‘ব্যবসা পরিবেশ প্রতিবেদন’-এ বলা হয়েছে, চীনের ব্যবসা পরিবেশ ২০১৫ সালে বিশ্বের ৯০তম থেকে ২০২০ সালে ৩১তম স্থানে উঠে এসেছে। বস্তুত, আজকের চীন বিশ্বের সঙ্গে আরও গভীরভাবে মিলেমিশে আছে।