সহজ চীনা ভাষা: হান তানে হাঁটতে শেখা
বন্ধুরা, আজকের যে ছেং ইয়ু আমরা শিখাবো তা হল হান তানে হাঁটতে শেখা’ বা ‘邯郸学步’। এই ছেং ইয়ু চীনের বিখ্যাত প্রাচীন বই ‘চুয়াং য্যি’র একটি উপকথা থেকে এসেছে।
এই উপকথায় বলা হয়, যুদ্ধলিপ্ত রাষ্ট্রগুলোর যুগে একটি খবর ব্যাপক প্রচারিত হয়, তা হল চাও রাজ্যের রাজধানী হান তান শহরে মানুষদের হাঁটার ভঙ্গি খুব সুন্দর, যা খুব মার্জিত। হান তান মার্জিত শহর হিসেবেও বেশ পরিচিত। সে সময় ইয়ান রাজ্য একজন যুবক ছিল। এ খবর শুনে সে খুব আগ্রহী হয়ে ওঠে। সে ভাবে, সবাই হাঁটতে পারে, তবে সুন্দর হাঁটা কি রকম? তা দেখার জন্য সে হান তানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যখন হান তানে আসে তখন সেই যুবক আবিষ্কার করে যে, মানুষ যা বলেছে তা সত্য। হান তানের মানুষ সত্যিই খুব সুন্দরভাবে হাঁটে। তাই সে এমন হাঁটার ভঙ্গি শিখতে চায়। রাস্তায় সে অন্যান্য মানুষের হাঁটা অনুকরণ করে: অন্য লোক বাম পা দিয়ে চলে, সে তার বাম পা দিয়ে চলে। তবে কিছু দিন পার হলেও, সে এই হাঁটার ভঙ্গি শিখতে পারে না। তাই সে ভাবছে, আমি আগে যেভাবে হাঁটছিলাম, তা নিশ্চয়ই ভুল ছিল, আগের হাঁটার উপায় ও ভঙ্গি একদম পরিত্যাগ করলে নতুন হাঁটার ভঙ্গি শিখতে পারবো। তাই সে প্রথম থেকে হাঁটা শিখে। প্রতিবার একটি পদক্ষেপ নেয়, সাবধানে পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনা করে। সে প্রতিদিন কঠোর অনুশীলন করে, এভাবে ৩ মাস পার হয়, তবে হান তানের মানুষের হাঁটার ভঙ্গি শিখতে পারে নি, বরং আগের হাঁটার ভঙ্গিও ভুলে যায়! অবশেষে সে হাঁটার নিয়ম ভুলে যায় এবং হামাগুড়ি দিয়ে ইয়ান রাজ্যে ফিরে যায়।
এই উপকথা থেকে এসেছে ছেং ইয়ু ‘邯郸学步’, এর আক্ষরিক অর্থ ‘হান তানে হাঁটতে শেখা’। সেই যুবক যান্ত্রিকভাবে অন্য মানুষের হাঁটার ভঙ্গি অনুকরণ করে, তাই সুন্দর হাঁটার ভঙ্গি শিখতে পারে না, বরং নিজের হাঁটার উপায়ও ভুলে যায়। পরে মানুষরা এই ছেং ইয়ু দিয়ে ‘যান্ত্রিকভাবে অন্যকে অনুকরণ করে ব্যর্থ হওয়ার’ আচরণ বর্ণনা করে।