সহজ চীনা ভাষা: তৃষ্ণা মেটাতে বরই ফুলের দিকে তাকানো
বন্ধুরা, আজকে যে ছেং ইয়ু আমরা শিখাবো তা হল ‘望梅止渴’, এর অর্থ ‘তৃষ্ণা মেটাতে বরই ফুলের দিকে তাকানো’। এই ছেং ইয়ু চীনের একজন বিখ্যাত ঐতিহাসিক ব্যক্তির সঙ্গে জড়িত, তিনি হলেন ছাও ছাও। তিনি চীনের বিখ্যাত প্রাচীন রাজনীতিবিদ, সামরিক কৌশলবিদ ও সাহিত্যিক ছাও ছাও’র সঙ্গে জড়িত। ছাও ছাও প্রায় ১৮০০ বছর আগের মানুষ। সেই ঘন ঘন যুদ্ধ ও সামাজিক অস্থিরতার যুগে, ছাও ছাও অসাধারণ রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশলগত দক্ষতা দেখিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন প্রতিভাবান মানুষকে একত্রিত করে চীনের উত্তরাঞ্চলের একীকরণ করেছেন। আর পরে ওয়েই রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। আজকের ছেং ইয়ু ছাও ছাও’র একটি যুদ্ধ থেকে এসেছে।
তাং হান রাজবংশের শেষ দিকে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে ঘন ঘন যুদ্ধ ঘটত। ছাও ছাও তার সেনাদের নেতৃত্ব দিয়ে ওয়ান ছেং শহর আক্রমণ করতে যাচ্ছিলেন। তখন আবহাওয়া খুব গরম। সেনারা ভারী অস্ত্র বহন করে, পুরো শরীর ঘামে ভিজে যায়। তারা খুব তৃষ্ণার্ত ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাদের মার্চ করার গতিও অনেক কমে যায়। ছাও ছাও সেনারা এত তৃষ্ণার্ত দেখে বিশ্রামের আদেশ দেন এবং জল খোঁজার জন্য চারপাশে লোক পাঠান। কিন্তু তারা একটি মরুভূমিতে প্রবেশ করেছে, সেখানে কোনো নদী নেই, ঝর্ণাও নেই, সবাই জল খুঁজে পায় না। তাই ছাও ছাও কূপ খননের নির্দেশ দেন। সেনারা ঘাম ঝরিয়ে মাটি খনন করে, কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও কোনো জল পাওয়া যায় নি।
যদি দীর্ঘ সময়ে সেখানে থাকা হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরো গুরুতর হয়ে উঠবে। হঠাত ছাও ছাও একটি উপায় বের করেন। তিনি সেনাদেরকে বলেন, ওই স্থানে তিনি আগে গিয়েছিলেন, সামনের পাহাড় পার হয়ে বিশাল বেবেরি বন আছে, পানি না হলেও সবাই বেবেরি খেতে পারে। সেনারা তার কথা শুনে ভাবছে বেবেরি খাওয়ার দৃশ্য, ফলে তৃষ্ণা কম লাগে। বেবেরি খাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে তারা পাহাড় পার হয়ে যায়। আর সেখানে বেবেরি বন না থাকলেও তারা পানির সন্ধান পায়। সবাই সেখানে ভালোভাবে বিশ্রাম নেয়। ছাও ছাও এভাবে পানি সংকট মোকাবিলা করেন।