ছোট কর্মশালা থেকে পোশাকের বিখ্যাত শহর: ফু মিয়েন জেলার রূপান্তর
“(অতীতে) দু’জনে মিলে কাপড় কাটতাম এবং গ্রামীণ মহিলাদের কাছে তৈরি করতে পাঠাতাম। তাদের সম্পন্ন করার পর আমরা সব জিন্স ফিরিয়ে আনতাম। আমরা প্রতিদিন মাত্র কয়েক ডজন তৈরি করতে পারতাম। এখন আমাদের বিক্রয়ের উপায় হলো অনলাইন এবং অফলাইন বিক্রয়কে একত্রিত করা। দেশি ও বিদেশি যত বেশি গ্রাহক রয়েছেন আমাদের ব্যবসারও তত বেশি ভালো হচ্ছে।”
স্ত্রীর সঙ্গে থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে একটি বৃহৎ আকারের উদ্যোগে বিকশিত হয়েছে ছাও ফান গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি, যা উচ্চমানকে ধারন করে। আজ, কারখানায় কর্মরত অনেক শ্রমিকই স্থানীয় বাসিন্দা এবং তাদের বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা আছে। কারখানা প্রদত্ত সুবিধা এবং স্থিতিশীল কাজের পরিবেশ শ্রমিকদের বাড়ির কাছাকাছি এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ খুঁজে পেতে দেয়, যা ফুমিয়েন জিন্সের উচ্চমানের জন্য একটি শক্তিশালী গ্যারান্টি প্রদান করে। থাও হাই ইয়েন নামে একজন মহিলা কর্মী, যিনি বহু বছর ধরে কারখানায় কাজ করেছেন, তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই খুটিনাটি বিস্তারিত তথ্যের ওপর মনোযোগ দিতে হবে যাতে, এই প্যান্টগুলো পরা সহজ এবং টেকসই হয়। এখানে সর্বোচ্চ বেতন সাধারণত ৪ হাজার ইউয়ানের বেশি, দূরদূরন্তের জায়গা নয়, এখানে কাজ করলেই আমারা পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের যত্ন নিতে পারি।”
বছরের পর বছর বিকাশের পর ফু মিয়েনের পোশাক শিল্প, বিশেষ করে জিন্সের উৎপাদন ও রপ্তানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। জিন্স উৎপাদনের জন্য ডিজাইন, ওয়াশিং, বোতাম-জিপার লাগানো, থ্রেড কাটা এবং প্যাকেজিংয়ের মতো কয়েকটি প্রক্রিয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে, ওয়াশিং হল ডেনিম ফ্যাব্রিককে পুরানো করার এবং এর গঠন দেখানোর প্রক্রিয়া। একজোড়ো জিন্স কি হাই, মিড বা লো কোয়ালিটি, ফ্যাব্রিক এবং ডিজাইন ছাড়াও, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ওয়াশিং ওয়াটার। তবে ওয়াশিং ওয়াটার সৃষ্ট নর্দমা কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তা একটি বড় সমস্যা।