চীনের ‘নাইট স্কুল’
আধুনিক সমাজে নাইটস্কুলে পেশাগত স্থান এবং সরঞ্জাম যোগানো হয় এবং শহরবাসীদের মধ্যে যাদের একই ধরনের আগ্রহ বা সখ আছে, তাদেরকে যোগাযোগ করার সুযোগ দেওয়া হয়।
কোনো কোনো তরুণ নাইটস্কুল প্রতিষ্ঠাকে স্ব-কর্মসংস্থানের চ্যানেল হিসেবে নির্ধারণ করেন, কোনো কোনো তরুণ নাইটস্কুলকে কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ খুঁজে পাওয়ার আশা পোষণ করেন।
তা ছাড়া, কোনো কোনো প্রশিক্ষণ সংস্থা রূপান্তরিত হতে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘নাইস্কুল প্রকল্প তরুণদের দক্ষতা বিকাশ এবং বিভিন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।’
নানা কারণে তরুণতরুণীরা নাইট স্কুলে ভর্তি হন। তাদের বৈচিত্র্যময় চাহিদার কারণে নাইটস্কুলের বড় বাজার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
তা ছাড়া, নাইট স্কুল অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার বাঁচিয়ে রাখার জন্যও নতুন চিন্তাধারা যুগিয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী চীনা চা তৈরির কৌশল এবং এ সম্পর্কিত রীতিনীতি বিশ্বমানের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে, কিন্তু প্রতিদিনের চা পান করার এখনও সাংস্কৃতিক স্বাদ নেই। অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার বিষয়ক বেইজিংয়ের একটি নাইটস্কুলের জনৈক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কোর্স সবেমাত্র অনলাইনে প্রকাশের পর সব আসন বিক্রি হয়ে গেছে। এটি খুব জনপ্রিয় হয়েছে।’
অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট পর্যটন বা পরিদর্শনের তুলনায় নাইটস্কুলের কোর্সের মাধ্যমে আরো বেশি লোকের জানাশোনা গভীরতর হবে এবং বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।