বাংলা

শীতে ছিয়াংথাং মালভূমিতে কৃষক ও পশুপালকদের আরামদায়ক জীবন

CMGPublished: 2024-01-11 15:06:18
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

সান শেডের মধ্যে বসে নিমা জেলার মুগারেসে সম্প্রদায়ের সদস্য শান জেন খুব আরাম বোধ করেন। শান জেনের সামনের টেবিলটি দুধ, পানীয় জল ও কেক দিয়ে ভরা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সরকারের সহায়তায় সম্প্রদায়ের প্রতিটি পরিবারকে প্রায় ৬০ ব্যাগ জ্বালানি দেওয়া হয়। আমরা যা খেতে চাই, তা কিনতে জেলায় যেতে পারি। সেখানে বিভিন্ন পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে এবং এটা খুব কাছাকাছি আর সুবিধাজনক।”

নিমা থানার কুমা চারণ এলাকায় সিমেন্টের তৈরি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে এবং ভিতরে বিদ্যুৎ আছে। আগে তাঁবুতে থাকার চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে এটা। নিমা থানার পার্টি কমিটির সচিব ইন ছিয়াং বলেন, “চারণ করার এমন আধুনিক অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র নিমা থানায় রয়েছে ৪২টি। এখন শুধু পশুপালকদের থাকার ব্যবস্থাই উন্নত হয়নি, ভেড়া রাখার স্থানও উন্নত করা হয়েছে। ভেড়ার রাখার নতুন স্থান পরিষ্কার ও পরিপাটি, তাপ নিরোধক এবং ভেড়া নিরাপদে শীতে বেঁচে থাকতে পারে।”

এচিউ থানার কৃষি ও পশুপালন বিষয়ক দুর্যোগ প্রতিরোধ ও ত্রাণ সামগ্রীর রিজার্ভ গুদামে সংবাদদাতা দেখতে পান যে, পশুখাদ্য, চুলা, সুতির কাপড়, কয়লা, তুষার অপসারণ সরঞ্জাম ইত্যাদি সব পাওয়া যায় সেখানে। এচিউ থানার প্রধান নিমা চাশি বলেন, “গুদামে প্রায় ১৭৭ টন খড়, ২১৪ টন শস্যের মজুদ এবং প্রায় ১৪৫ টন জ্বালানি মজুদ রয়েছে। আমরা শীত আসার আগেই কৃষক ও পশুপালকদের মধ্যে এসব উপকরণ আগাম বিতরণ করেছি এবং দুর্যোগের সময় প্রাসঙ্গিক জরুরী পরিকল্পনা প্রণয়ন করার সঙ্গে সঙ্গে দুর্যোগের সময়ে স্থানান্তর রুটও তৈরি করেছি। একবার কিছু ঘটলে শহর এবং জেলার সরকার আমাদেরকে সাহায্য করবে। এমনকি প্রচণ্ড তুষারঝড় হলে এবং বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগ বিঘ্নিত হলে আমরাও কমপক্ষে ৮ মাস ধরে বেঁচে থাকতে পারবো।”

বান তিয়েন নামে এচিউ থানার একজন বৃদ্ধার উঠানে খননযন্ত্র, ট্রাইসাইকেল ও পিকআপ ট্রাক পার্ক করা। তিনি বলেন, “আমার গাড়ি আছে, তাই আমি যে কোনও জায়গায় যেতে পারি। যখন ভারী তুষার জমে, আমি একটি খননযন্ত্র ব্যবহার করে রাস্তা পরিস্কার করতে এবং যান চলাচল পুনরুদ্ধার করতে পারি।”

বান তিয়েনের ৭০০টিরও বেশি ভেড়া ও ৬০টিরও বেশি গরু রয়েছে। অতীতে গবাদি পশু মারা যাওয়া একটি সমস্যা ছিল যা তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করত। এখন গবাদি পশু ও ভেড়ারও বিমা আছে এবং তারা যদি দুর্ঘটনার শিকার হয়, মালিকেরা ক্ষতিপূরণ পান।

এখন ছিয়াংথাং মালভূমিতে কৃষক এবং পশুপালকরা একটি উষ্ণ শীত কাটাচ্ছেন।

লিলি/রহমান

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn