চীনের কুই চৌ প্রদেশের কান্ট্রি ফুটবল সুপার লীগ
শি সিয়েনশি’র জন্য প্রস্তুত খাবার তৈরি যেমন একটি জীবন, তেমনি ফুটবল খেলাও তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তার মতে ফুটবল খেলাকে জীবনকে ব্যাহত করতে দেয়া উচিৎ নয় এবং জীবনের কারণে ফুটবল খেলাও বন্ধ করা উচিৎ নয়।
তিনি বলেন, ‘আমার কয়েকজন ভাই ফুটবল খেলেন এবং আমার দুই ছেলেও ফুটবল খেলে।’
ফুটবলকে বলা যেতে পারে রোংচিয়াং জেলার ‘এক নম্বর খেলা’। তিন লাখ ৮৫ হাজার জনসংখ্যার এই ছোট্ট জেলাটি শুধুমাত্র কুইচৌ প্রদেশের শিশুদের জিমন্যাস্টিকসের জন্মস্থান নয়, বরং এটি দেশের প্রথম সারির ফুটবলের দৃষ্টান্তমূলক স্থানও বটে।
শি শিবি নির্মাণ সাইটে কাজ করে থাকেন। তিনি ফুটবল খেলতে খুব পছন্দ করেন এবং খেলার কৌশল নিয়ে গবেষণা করতেও ভালোবাসেন। তিনি জানান, ছোটবেলায় তার ফুটবল খেলার জুতো ছিল না। গ্রামের কাছাকাছি একটি নর্মাল কলেজ আছে। মাঝেমাঝে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে ওই কলেজের ছাত্রদের ফেলে দেওয়া স্নিকারগুলো তুলে আনতেন। মেরামত করার পর সেগুলো দিয়ে তিনি ফুটবল খেলতেন।
আস্তে আস্তে টেলিভিশন জনপ্রিয় হওয়ার পর শি শিবি টিভিতে ফুটবল খেলা উপভোগ করা শুরু করেন এবং বিখ্যাত খেলোয়াড়দের থেকে খেলার কৌশল শিখে ফেলেন।
শি শিবি বলেন, ‘পরে অনেক স্কুলে ফুটবল মাঠ নির্মিত হয়েছে এবং আমাদের খেলার পরিবেশ ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে। আমরা ভালো কৌশলও রপ্ত করছি।’
ব্যস্ততা থাকলেও ত্রিশ বছর বয়সী শি শিবি প্রত্যেক সপ্তাহে টিমের সদস্যদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ এবং প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তিনি বিশ্বাস করেন, অনুশীলন মানুষকে নিখুঁত করে তুলে।
লিলি/এনাম