চীনা বাদ্যযন্ত্র সুওনা হোনের বাদক লিউ উয়েন উয়েন
২০২০ সালে শিক্ষক লিউ ইং-এর অনুপ্রেরণায় লিউ উয়েন উয়েন পিএইচডি করার জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেন। এটি ছিলো তার জীবনের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এটা কতটা কঠিন? মঞ্চে পরিবেশনার সবচেয়ে কঠিন দিক হলো টানা ৬০ মিনিট ধরে কোনো বাধা ছাড়াই সুওনা বাজানো এবং সর্বোচ্চ পারফরমেন্সের মান বজায় রাখা। কিন্তু পিএইচডির জন্য অনেক বেশি সময় ধরে প্রচেষ্টা চালাতে হয়।
সবাই জানেন, সুওনা বাজানোর জন্য অত্যন্ত উচ্চ ফুসফুসের ক্ষমতা এবং শারীরিক শক্তি প্রয়োজন। বেশি চর্চা করার সময় লিউ উয়েন উয়েনকে দিনে চার বেলা খেতে হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। লিউ উয়েন উয়েন খেয়াল করেছেন যে সুওনা নানা বাদ্যযন্ত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারছে। রক, নাটক এবং আধুনিক পপ উপাদানের সাথেও সুওনাকে একত্রিত করা সম্ভব।
তিনি আরও দেখতে পান যে সুওনার জন্য আরও বেশি সংখ্যক সুরকার সঙ্গীত লিখতে শুরু করেছেন। লিউ উয়েন উয়েন গভীরভাবে জানেন যে সুওনা ঐতিহ্যবাহী চীনা সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছেন এবং আন্তঃসীমান্ত উদ্ভাবনকে অবশ্যই ঐতিহ্যগত ভিত্তি থেকে দূরে সরে যেতে দেন না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির এখনও অনেক কিছু অন্বেষণ করার আছে।’
পিএইচডি করার সময় লিউ উয়েন উয়েন শিক্ষার্থীদের পড়িয়েছেন। এ শিল্পকে ‘বাঁচিয়ে রাখা’ প্রসঙ্গে তিনি নিজের অনুভূতি তুলে ধরেন। ভবিষ্যতে আমার প্রত্যেক ছাত্র ভিন্ন পথে চলতে পারবে; প্রত্যেক পথেই সুওনা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে। এভাবে এর বিস্তার সম্ভব হবে এবং আমাদের ঐতিহ্যবাহী এ লোকসঙ্গীত প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আধুনিক মঞ্চে সক্রিয় থাকবে।
লিলি/এনাম/রুবি