জিভে জল আনা ‘বেইজিং রোস্ট ডাক’
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের সুস্বাদু খাবারের কথা উল্লেখ করতে গেলে বেইজিং ডাকের কথা বলতে হয় সবার আগে। ছুয়েনচুদ্য ব্র্যান্ড হচ্ছে বেইজিং ডাকের প্রতিনিধিত্বকারী। আজকের অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে চীনের জাতীয় অবৈষয়িক কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃত ছুয়েনচুদ্য হ্যাঙ্গিং ওভেন রোস্ট ডাক শিল্পের ষষ্ঠ প্রজন্মের উত্তরাধিকারী উ ইয়ু বো’র সঙ্গে আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেবো।
উ ইয়ু বো’র বয়স এখন ৬৮ বছর। ১৯৭৫ সালে ১৮ বছর বয়সে তিনি ছুয়েনচুদে রোস্ট ডাক রেস্টুরেন্টে যোগ দিয়েছিলেন। গ্রীষ্মকালে রোস্ট ডাকের চুলা যে রুমে ছিল –তা তখন অত্যন্ত গরম থাকতো। তাই যত দ্রুত সম্ভব রোস্ট ডাকের রান্না আয়ত্ত করতে তিনি প্রতিদিন সবার অনেক আগে রেস্টুরেন্টে আসতেন। তিনি প্রবীণ একজন পাচকের পিছনে বিনীতভাবে রান্না শিখতেন।
তিনি মনোযোগ দিয়ে রান্নার প্রত্যেক পদক্ষেপ চিন্তা করতেন এবং আস্তে আস্তে অনেক গোপন তথ্য সংগ্রহ করতেন। রোস্ট ডাকের গায়ের রং, ডাক কাটার চিত্রকোণ, নানা দিক তিনি গভীরভাবে বিবেচনা করতেন।
উ ইয়ু বো’র মনে পড়ে যে ২০০০ সালের আগে বেইজিংয়ে মাত্র এক হাজারেরও কিছু বেশি রোস্ট ডাক রেস্টুরেন্ট ছিলো। ২০০৮ সালে অফলাইনে একটি দোকানে দিনে তিন হাজারেরও বেশি ডাক বিক্রি হতো এবং বছরে এ সংখ্যা ছিলো তিন লাখেরও বেশি। তবে নতুন ব্র্যান্ডের অনেক রেস্টুরেন্ট খোলার কারণে রোস্ট ডাক রেস্টুরেন্টের বেচা-কেনা আগের চেয়ে কমে যায়।
এখন ৪০ বছর পার হয়েছে। উ ইয়ু বো উদ্বিগ্ন যে রোস্ট ডাক তৈরিতে সংস্কার না আনলে এ শিল্পকে পিছিয়ে পড়তে হবে। যখন উদীয়মান ক্যাটারিং ব্র্যান্ডগুলো বাজারে দৃঢ়ভাবে প্রবেশ করে, তখন তিনি চিন্তিত হন যে লোকেরা রোস্ট ডাক ত্যাগ করবেন। তাই তরুণদের সমাদর আবারও অর্জন করতে উ ইয়ু বো অনেক নতুন চেষ্টা শুরু করেন।