শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণে আরও বেশি সহায়তা প্রয়োজন
বেইজিং ফিল্ম একাডেমির পরিচালনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক ফাং কাং লিয়াং মনে করেন, শিশুবিষয়ক চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও পরিপক্ব সৃজনশীল পদ্ধতি এবং শৈল্পিক প্রকাশের পাশাপাশি শিশুর মতো চিন্তাভাবনা প্রয়োজন। নির্মাণের প্রক্রিয়ায় গভীর আগ্রহ এবং উদ্দীপনা থাকা ছাড়াও নির্মাতাদের মনোযোগ দিয়ে গবেষণা এবং সঠিকভাবে শিশুদের নান্দনিক মনোবিজ্ঞান উপলব্ধি করা উচিৎ।
শিশুবিষয়ক চলচ্চিত্রগুলোকে শিশুদের সমাদর পেতে চাইলে প্রথমে ‘মজার’ হতে হবে। ‘মজা’ মানে কি? কিছু শিশু মার্শাল আর্টস মুভি এবং ভয়ানক লড়াইয়ের দৃশ্যসহ অ্যাকশন মুভি দেখতে পছন্দ করে। বর্তমানে জমকালো মুভি স্পেশাল এফেক্ট প্রযুক্তি শক্তিশালী এবং উত্তেজনাপূর্ণ ভিজুয়াল ইফেক্ট তৈরি করার অনেক সুবিধা প্রদান করে।
বেইজিং ফিল্ম একাডেমি’র চীনের অ্যানিমেশন বিভাগের উপ-পরিচালক ছাও সিও হুই বলেন, শিশুবিষয়ক চলচ্চিত্র কর্মীদের সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্যটি মনে রাখা উচিৎ এবং শিশু চলচ্চিত্রের শিক্ষামূলক বিষয়গুলোকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়। তাই শিশুবিষয়ক চলচ্চিত্রগুলোকে কেবল মজার করে তোলা নয়, বরং তাদেরকে আরও উষ্ণ এবং প্রেমময় করে তুলা উচিৎ।
চায়না চিলড্রেন অ্যান্ড টিনএজার্স ফিল্ম সোসাইটির অনারারি পরিচালক হৌ খ্য মিং বলেন, চমৎকার শিশুবিষয়ক চলচ্চিত্র শিশুদের জন্য আধ্যাত্মিক খাদ্য, তাই এর শিক্ষামূলক ফাংশন যে কোনো সময়ে হারিয়ে যাবে না।
চায়না ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং পরিচালক ইন লি শুরু থেকে শিশুবিষয়ক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে আসছেন। তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘মাই সেপ্টেম্বর’ ১১তম চায়না ফিল্ম গোল্ডেন রোস্টার অ্যাওয়ার্ডে সেরা শিশু চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার জিতেছে। এটিকে এখনও কিছু মানুষ চীনের সেরা শিশুবিষয়ক চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে মূল্যায়ন করেন। এ চলচ্চিত্রের তরুণ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সবাই ছিলেন অ-পেশাদার, কিন্তু মুভিটি অনেক প্রাণবন্ত এবং শিশুদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিশুবিষয়ক চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে যেগুলো সবচেয়ে বেশি আয় করেছে, সেগুলো মূলত অ্যানিমেটেড মুভি। চীনে বর্তমানে ২০ কোটিরও বেশি শিশু আছে। তাই শিশুবিষয়ক চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সমর্থনের মাত্রা বাড়ানো উচিৎ।