কেপটাউনে অনুষ্ঠিত প্রথম অ্যানিমেশন এক্সপো
অ্যানিমেশন প্রদর্শনীতে চীন থেকে আসা কার্টুন চিত্রগুলোও লোকেদের সমাদর পেয়েছে। আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন সংস্কৃতি একে অপরকে প্রভাবিত করছে এবং একে অপরের সাথে মিলছে।
কর্ডেইরো আরও বলেন,
‘অনেক অ্যানিমেশন শিল্পকর্ম—যেমন: বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর অনেক চরিত্র বা বিষয় ক্ষুদ্রাকৃতির মডেল আকারে প্রদর্শিত হয়েছে। ড্রাগনকে প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে চীনা সংস্কৃতিতেও তা রয়েছে। পূর্ব এশিয়ায় অ্যানিমেশনের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। আমার জন্য সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ বিষয় হল: বিশ্বের পরিবর্তন হচ্ছে। বিভিন্ন সংস্কৃতি এখন আর বিচ্ছিন্ন নয়, বরং তারা মিশতে শুরু করছে, যা আশ্চর্যজনক।’
আয়োজকদের মতে, অ্যানিমেশন প্রদর্শনীর টিকিট ভালো বিক্রির কারণে কয়েক সপ্তাহ আগে ২৫ হাজার টিকেট ইতোমধ্যেই বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। আফ্রিকার বিখ্যাত সাংস্কৃতিক শহর হিসেবে কেপ টাউন চলচ্চিত্র এবং টিভি সিরিজের শুটিং লোকেশন হয়ে উঠছে। প্রতি বছর কেপটাউনে গড়ে ১০ হাজারেরও বেশি চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন স্যুট করা হয়। এছাড়া, কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫০ শতাংশেরও বেশি গেম ডেভেলপমেন্ট স্টুডিও রয়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে অ্যানিমেশন শিল্প দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কেপ টাউন অ্যানিমেশন প্রদর্শনীর আয়োজনের আদর্শ শহর হয়ে ওঠেছে। স্থানীয় ইন্টারনেট মিডিয়ার উপস্থাপক ডিজে ফ্লেসার বিশ্বাস করেন যে কেপ টাউনের অ্যানিমেশন অনুশীলনকারীরাও চীনা বাজারে একটি শক্তিশালী আগ্রহ দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন,
‘একশ কোটি লোকসংখ্যার বিশাল বাজার চীন। আমি মনে করি, বিশাল ভোক্তা গোষ্ঠীর কারণে যে কোনো অ্যানিমেশন চীনে ভালোভাবে চালানো সম্ভব হবে। চীনে অ্যানিমেশন বই বিক্রি বিশাল একটি বাজার পাবে। আমি চীনের অ্যানিমেশন প্রদর্শনী উপভোগ করতে খুব আগ্রহী।’