বাংলা

স্বপ্নবাজ আ ওয়াং রেন ছিং

CMGPublished: 2023-05-11 10:57:30
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

আ ওয়াং রেন ছিং হলেন চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের লিন চি শহরের বো মি জেলার লোক। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি ক্যামেরা দিয়ে জন্মস্থানের সুন্দর দৃশ্য ধারণ করা শুরু করেন। গত দুই বছর ধরে তিনি মুভি শুটিং শুরু করেন।

চিত্রগ্রহণের সঙ্গে আ ওয়াং রেন ছিং’র সম্পর্ক তার তরুণ বয়স থেকে। তিনি যখন লাসা শহরে দমকলকর্মী হিসেবে কাজ করতেন, তখন চিত্রগ্রহণের প্রেমে পড়েন। সেই সময় তিনি খুব অল্প ম্যান্ডারিন বলতে পারতেন এবং চীনা অক্ষর একদমই বুঝতেন না। তখন কাজের কারণে তিনি পোতালা প্রাসাদের কাছাকাছি ঘুরতেন এবং সেই জায়গাটি দর্শনীয় স্থান বলে পর্যটকদের সংখ্যা বেশি হতো। সুযোগ পেলে তিনি পর্যটকদের কাছে একটি করে শব্দ শিখতেন। সেসময় তিনি অনেক বন্ধুর সঙ্গে পরিচিত হন। পর্যটকদের মধ্যে অনেকে খুব ভালো ছবি তুলতে পারতেন। তাই তারা চীনা অক্ষর শিক্ষাদানের সঙ্গে সঙ্গে চিত্রগ্রহণ সংক্রান্ত অনেক জ্ঞানও তাকে শিখিয়েছেন। তখনই চিত্রগ্রহণ প্রসঙ্গে আ ওয়াং রেন ছিং কিছু ধারণা পেয়েছেন।

তারপর সেনাবাহিনী ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি জন্মস্থান বো মিতে ফিরে যান। তিনি আবিষ্কার করেন, আশেপাশের লোকদের বস্তুগত জীবন বিপুলভাবে উন্নত হয়েছে বলে অনেকে আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক জীবন সাধনা করতে থাকেন।

২০০৮ সালে সবার প্রভাবে আ ওয়াং রেন ছিং একটি ক্যামেরা কিনেছিলেন এবং ফটোগ্রাফি শিখতে শুরু করেছিলেন। তিনি একা গাড়ি চালিয়ে জন্মস্থানের অল্প পরিচিত জায়গায় বিভিন্ন দৃশ্য খুঁজে বের করতে পছন্দ করেন। দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিরন্তর অধ্যয়ন এবং শ্রমসাধ্য সৃষ্টির পর তিনি ফটোগ্রাফিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন।

আ ওয়াং রেন ছিং’র বেশিরভাগ ফটোগ্রাফিক কাজ হল প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং জন্মস্থান বা বোমির মানুষকে নিয়ে, যার প্রতিটিতে তার নিজের জন্মস্থানের প্রতি তার অনন্য অনুভূতি রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি ভিডিও শুটিং এবং প্রযোজনায় রূপান্তরিত হতে শুরু করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফির মিল আছে। তবে ছবির চেয়ে ভিডিও আরও বেশি গল্প এবং তথ্য বহন করতে সক্ষম।

এখন আ ওয়াং রেন ছিং বোমিতে শিকারের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একটি পরিবেশগত সুরক্ষা-থিমযুক্ত চলচ্চিত্র শুটিং করছেন। তিনি বলেন, ‘বোমি আমার জন্মস্থান। আমি আশা করি, সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য এবং বোমির সাথে সম্পর্কিত গল্প শুটিং করব। আমি আরও আশা করি, এই ছবির মাধ্যমে সবাই জানতে পারবেন যে এখানে এমন একটি দল আছে যারা প্রকৃতি এবং পরিবেশ সুরক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন।’

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn