‘লিন চে সুই’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত
কোরিওগ্রাফার হুয়াং তৌ তৌ দর্শকদের সঙ্গে কোরিওগ্রাফি’র পিছনের গল্প শেয়ার করেন। এগারো ডিগ্রী জায়গা আশেপাশের জীবনে খুব কম পাওয়া যায়, তাই তিনি একটি আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যারেজের র্যাম্পে বারবার নাচের চল বিবেচনা করতেন।
নিজের এই শিল্পকর্ম নিয়ে খুব সন্তুষ্ট বলে এর মঞ্চ পরিচালক ওয়াং সিও তি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অবশেষে এই সিনেমা তার কল্পনার চেয়ে আরও ভালো হয়েছে। তিনি আশা করেন, সবাই প্রেক্ষাগৃহে এই সিনেমা দেখতে যাবেন।
প্রিমিয়ারে সাংবাদিকরা দেখতে পান যে যারা এ সিনেমার প্রিমিয়ার দেখতে আসেন, তারা বিভিন্ন শ্রেণীর বয়সের লোক। এক তরুণ মা নিজের ছোট বাচ্চাকে নিয়ে মুভি দেখতে আসেন। তিনি বলেন, লিন চে সুই হলেন চীনের জাতীয় বীর। তার উদ্যোগ ‘হুমেনে আফিমের ধ্বংস’ চীনের ইতিহাসে দারুণ বিখ্যাত। এই ঘটনাটি পরবর্তীতে প্রথম আফিম যুদ্ধের ফিউজে পরিণত হয়। আজ আমি বাচ্চাকে নিয়ে এ মুভি দেখতে আসি। আশা করি, ছোটবেলা থেকে চীনের ইতিহাস সম্পর্কতে সে জানতে পারবে।
বেইজিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের একটি স্থায়ী ইউনিট হিসেবে ‘চীনা ভাষার মুভির শক্তি’ ইউনিট তরুণ চীনা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সৃষ্টিতে মনোযোগ দিতে থাকে এবং তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আবিষ্কার ও প্রচারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠেছে।
উল্লেখ্য, ‘লিন চে সুই’ চীনের এই বিখ্যাত ঐতিহাসিক ব্যক্তির নামে নামকরণ করা হয়। এই বিখ্যাত ঐতিহাসিক ব্যক্তির অভিজ্ঞতা সঠিকভাবে তুলে ধরতে ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টস এবং চীনের কুয়াং তোং ড্রামা আর্ট সেন্টার মনোযোগ দিয়ে সংগঠন এবং পরিকল্পনা করেছে। নির্মাণ দলের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে হুমেন, ইলি, বেইজিং এবং ফুচৌসহ অনেক জায়গায় গিয়েছিল, যেখানে লিন চে সুই বাস করতেন।
যখন চীনা জাতি সংকটে ছিল এবং ছিং রাজবংশের বিশৃঙ্খল শাসনামলে ছিল। তখন লিন চেং সুই রাজনীতির উন্নতি, দুর্নীতি দমন এবং মন্দকে নির্মূল করতে অনেক কাজ করেছেন। তিনি দেশের সমৃদ্ধি এবং গণজীবিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। আফিম যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ আগ্রাসীদের গানবোটের মুখোমুখি হয়ে তিনি হাতে পুরানো অস্ত্র নিয়ে বারবার শত্রুদের পরাজিত করেছিলেন। তিনি পাশ্চাত্যের উন্নত সামরিক প্রযুক্তি শেখার মাধ্যমে আগ্রাসন প্রতিরোধ ও দেশকে শক্তিশালী করার উপায় অনুসন্ধান করার প্রস্তাব দেন। বলা যায়,তার দৃষ্টিভঙ্গি ইতিহাসের সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে যায়।