বাংলা

শহরের রেকর্ডার চাং চি কাং

CMGPublished: 2023-03-02 14:23:49
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

দুই বছরে চার শ’টিরও বেশি ছবি তুলেছেন। তিনি ক্যামেরা দিয়ে রাস্তায় আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ গল্প রেকর্ড করেছিলেন। সংশ্লিষ্ট ছোট ভিডিওগুলো প্রায়শই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়। অনেক নেটিজেন তার ভিডিও থেকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস এবং শক্তি পেয়েছেন।

চীনের হ্যনান প্রদেশের এই ফটোগ্রাফারের নাম হচ্ছে চাং চি কাং। সংক্ষিপ্ত ভিডিও নির্মাতা হিসেবে তিনি হ্যনান প্রদেশের চেংচৌ শহরে কঠোর পরিশ্রমী সাধারণ মানুষের দিকে ক্যামেরা ফোকাস করেছিলেন। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ৪০০টিরও বেশি ছবির মাধ্যমে চাং চি কাং এসব ফটোর পিছনের অসাধারণ গল্প রেকর্ড করেছেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘সাধারণ জীবন রেকর্ড করতে ক্যামেরা ব্যবহার করা যায়। যাতে আরও বেশি মানুষের মাঝে জীবনের আশা জাগিয়ে তুলা যায়।’

ভালো ছবি তোলার জন্য তিনি নতুন একটি ক্যামেরা কিনেছেন। ছবি তোলার ক্ষেত্রে তার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। শুরুতে অনেক বয়স্ক লোক তার আচরণকে গ্রহণ করতেন না। কারণ তাদের ধারণায়, একজন তরুণ ক্যামেরা নিয়ে তাদের জন্য ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সঙ্গে আড্ডা দেয়; তার হয়তো মন্দ উদ্দেশ্য আছে। তাই শুরুতে তিনি ক্যামেরা তরুণদের ওপর ধারণ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি জানি আমার শক্তি খুবই কম। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেকেই এই শহরে উষ্ণতা যোগ করতে পারেন। শিল্পকর্মের মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করতে চান তিনি।

২০২১ সালে চাং চি কাংয়ের শিল্পকর্ম ‘ফাদার আন্ডার দ্য স্ট্রিট ল্যাম্প’ ইন্টারনেটে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এই ছবি তোলার কথা স্মৃতিচারণ করে চাং চি কাং বলেন, সেই দিন গভীর রাতে একজন কৃষক একাকী রাস্তার পাশে বসে তরমুজ বিক্রি করছিলেন। নিজের দুটি সন্তানের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে সেই কৃষকের চোখে ভালোবাসা ও গৌরব ফুটে উঠেছিল। এই ছোট ভিডিও অনেককে মুগ্ধ করেছে।

চাং চি কাং বলেন, তার শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে আরেকটি ‘ভাগ করা রান্নাঘর’ নিজের মনে গভীর দাগ কাটে। এই রান্নাঘরের মালিক ক্যান্সার রোগী এবং তাদের আত্মীয়স্বজনকে রান্না করার জায়গা প্রদান করেছেন। তাদের মাত্র ৫ ইউয়েন ব্যয় করতে হয় এবং বিনামূল্যে রান্নাঘরের পাত্র, প্যান, তেল, লবণ, সস এবং ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিনের ভোর ও রাতে বিনামূল্যে পরিজ খেতে পারেন।

চাং চি কাং এই রান্নাঘরকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে পোস্ট করার পর রান্নাঘরের দরজার সামনে স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া চাল, আটা, শস্য এবং তেল রাখা হয়। অনেকে তার ছবি ও ভিডিও দেখার পর এই উষ্ণ রান্নাঘরের জন্য নিজের শক্তি দিতে চান।

বর্তমানে চি কাং চেংচৌ শহরে ছোট একটি নুডলস রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করেন। রেস্টুরেন্টের দরজায় একটি নোটিস লাগানো হয়েছে যে ‘একা একা বাইরে কাজ করেন এবং মাঝেমাঝে অসুবিধার সম্মুখীন হন। এই রেস্টুরেন্টে বিনামূল্যে এক বাটি নুডলস খেতে পারেন। আশা করি, পরবর্তীতে আপনি যখন সক্ষম হবেন, তখন আপনার চারপাশে যাদের সাহায্য লাগবে, তাদের সাহায্য করতে পারবেন।’

লিলি/এনাম/রুবি

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn