শিল্প খাত অবলম্বনে নির্মিত চীনা টিভি নাটকের উন্নয়নের গল্প
ডিসেম্বর ১: সম্প্রতি শিল্প খাতের নানা গল্প অবলম্বনে বেশ কিছু ভালো ধারাবাহিক চীনা নাটক তৈরি হয়েছে। তেমনি একটি নাটক হলো ‘পাওয়ার সোর্স’। এ নাটকের গল্পে বলা হয়, অভিজ্ঞ যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী লুশান হেভি ইন্ডাস্ট্রি সংকটের সম্মুখীন হয়েও সফলভাবে নিজেকে রূপান্তরিত করেছে। এ নাটকটি বেশ কয়েক দিন ধরে দর্শকসংখ্যার দিক থেকে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। ‘বড় প্রতিযোগিতা’ নামের আরেকটি নাটকে একটি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী কোম্পানি কীভাবে দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্ত থেকে আন্তর্জাতিক অগ্রসর প্রযুক্তির সৃজনশীল শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে- তা তুলে ধরা হয়েছে। সংস্কার এবং উন্মুক্তকরণের ৪০ বছরে চীনা উদ্যোগগুলো কীভাবে বাজারের চাহিদা, নিজস্ব উদ্ভাবন, এবং উন্নয়নের সঙ্গে খাপ খাওয়াচ্ছে-সেসব গল্প নাটকে ফুটে উঠছে। এসব শিল্পকর্ম শুধুমাত্র চীনের শিল্পের ‘উৎপাদন’ থেকে ‘বুদ্ধিমান উৎপাদনে’ উন্নয়ন রেকর্ড করার জন্য প্রাণবন্ত চিত্র ব্যবহার করে না, বরং নতুন যুগের কর্মীদের শৈলী বর্ণনা করে এবং কাজ ও উদ্ভাবনের জন্য তাদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞা প্রকাশ করে। কারণ তারা তাদের কাজকে ভালোবাসে এবং নিজেদেরকে কাজে নিবেদিত করে।
শিল্প দৃষ্টিকোণ থেকে জাতীয় উন্নয়ন এবং অগ্রগতির চমৎকার চিত্র তুলে ধরার এই পদ্ধতিটি উচ্চ মাত্রার সাংস্কৃতিক সচেতনতা তৈরি করে এবং সমসাময়িক সংস্কৃতির আস্থা প্রদর্শন করে। ফলে এটি ক্রমশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
আসলে চীনের চলচ্চিত্র ও টিভি নাটক তার জন্মলগ্ন থেকেই শিল্প বিষয়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলো। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর নির্মিত প্রথম ফিচার ফিল্ম ‘সেতু’ সাধারণ শিল্পকে তুলে ধরেছে। বলা যায়, শিল্পে জন্মগত মূলধারার উপাদান আছে এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা জাতীয় ঐতিহাসিক স্মৃতি বহন এবং জাতীয় আবেগকে সংকুচিত করতে সক্ষম।