চীনের চিত্রনাট্যকার চাং চি
চীনের চিত্রনাট্যকার চাং চি টানা ১০ বছর ধরে চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করে আসছেন। তার তৈরি শিল্পকর্ম প্রথমে কেউ চিনতো না এবং বর্তমানে তা দর্শকদের জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
১০ বছরের মধ্যে চাং চি ৩৩তম গোল্ডেন রুস্টার পুরস্কারসহ শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার জয় করেছে। গত বছরের মার্চ মাসে ‘চীনের পঞ্চম মধ্যবয়সী ও তরুণ শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক ও শৈল্পিক কর্মী’ এই খেতাব ভূষিত হয়েছেন।
এই খেতাব প্রসঙ্গে চাং চি বলেন, আগে আমার যে কোনো শিল্পকর্মের প্রশংসা করার তুলনায় এবারের এই খেতাব আমার স্বীকৃতি দিয়েছে এবং অনেক উত্সাহ দিয়েছে।
১৯৯৪ সালে ১৮ বছর বয়সী চাং চি জন্মস্থান হু নান প্রদেশের সিয়াং সি শহর থেকে বিদায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে বেইজিংয়ে আসেন। কোনো কারণে তিনি লেখাপড়া সম্পন্ন না করে তাড়াহুড়া করে কাজ করতে বাধ্য হন। তিনি সাধারণ কর্মী হিসেবে সাংস্কৃতিক কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন এবং ফ্রিল্যান্সার থেকে লেখক হন। ২৮ বছর বয়সে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে চিত্রনাট্যকার হয়ে ওঠেন।
তিনি বলেন, সেই সময় আমি লেখাপড়া করার সঙ্গে সঙ্গে পাণ্ডুলিপি লিখতাম। লেখার পর কোনো প্রতিক্রিয়াও ছিলো না। আমার অনেক শিল্পকর্ম প্রচারিত হয়নি, প্রচারিত হলেও আমার নাম থাকতো না। খুব কষ্টকর সময় ছিলো। তবে আমি মনে করি, সেই সময়ও ছিলো ব্যাপক প্রযুক্তি ও জ্ঞান জমা করার সময়।
২০১২ সালে আকস্মিক এক সুযোগে তিনি ‘American dreams in China’ নামে চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যের কাজে অংশ নেন। তখন থেকে তার রচনার চিন্তা-ধারা পরিবর্তন হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘আমি এই প্রথমবারের মতো একজনের বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে শিল্পকর্ম তৈরি করছি। অনেক বাস্তবসম্মত সত্যিকার খুটিনাটি বিস্তারিত তথ্য ও ভাবানুভূতি আমাকে মুগ্ধ করেছে। গল্পের আবেদন এবং মূল্য চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং যা যুগের উন্নয়ন প্রবণতার সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ। মুভিটি ইতিবাচক শক্তিতে ভরপুর এবং অবশেষে তা দর্শকদের সমাদরও পেয়েছে।’
চাং চি বলেন, এ মুভিটি রচনার কাজ থেকে আমি বুঝতে পারি যে, চীনের শক্তিশালী হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নিজের জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও নান্দনিকতার প্রতি দেশীয় দর্শকেরা অধিক থেকে অধিকতর আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। তারা মুভির কাহিনীতে নিজেদের ছায়া দেখতে পান; যা সময়ের প্রবণতা অনুসরণ করতে এবং আরও বেশি চীনা গল্প লিখতে আমাদের অনুপ্রাণিত করে।