বাংলা

রাস্তার ফিল্ম

CMGPublished: 2022-08-11 15:51:07
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

পথের চলচ্চিত্র একটি চলচ্চিত্র জেনার, যার মধ্যে প্রধান চরিত্রগুলো বাড়ি ছেড়ে রাস্তা দিয়ে যাত্রা করে, সাধারণত তাদের দৃষ্টিভঙ্গি দৈনন্দিন জীবন থেকে ভিন্ন রকমের।

ব্যাপক মুভি টাইপের মধ্যে একটি রোড মুভি আছে। গল্পের থিম বা সেটিং রাস্তার ভিত্তি করে সেট করা হয়। একটি স্ট্যান্ডার্ড রোড ফিল্মে বেশিরভাগ নায়করা রাস্তায় জীবনের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ করেন এবং রাস্তায় ঘটে যাওয়া নানা সিরিজের মাধ্যমে ছবির থিম সম্পূর্ণ করেন।

বিস্তৃতভাবে বলতে গেলে রাস্তার থিমভিত্তিক সাহিত্যকর্ম এবং পথ-নির্ভর চলচ্চিত্রগুলোর একই ধরনের অভিব্যক্তি রয়েছে, যাত্রার প্রক্রিয়ায় প্রধান চারিত্রগুলোর আবেগ ও ভাগ্য পরিবর্তন হয়।

চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত উপাদান হিসাবে ‘রাস্তা’ গত শতাব্দীর ৩০য়ের দশকের প্রথম দিকে হলিউড চলচ্চিত্রগুলোতে দেখা যায়। রোড ট্রিপ এবং অ্যাডভেঞ্চার তখন ছিল গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা চলচ্চিত্রের প্লটকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

তবে সেই সময়ের পথ-নির্ভর চলচ্চিত্রগুলোতে ‘রাস্তার’ উপাদান প্রধানত অন্যান্য প্রধান গল্পের প্রকারের পরিচর্যায় বিদ্যমান ছিল, এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়। এরপর গত শতাব্দীর ৫০/৬০-এর দশক পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব ছড়িয়ে পড়ে। অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেয়। ১৯৫৩ সালে আইজেনহাওয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর ‘কাজের বিনিময়ে ত্রাণ’ নামে ধারাবাহিক উদ্যোগ নেয়। যা হাইওয়ে নির্মাণকাজে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় কাজ।

পরের ৪০ বছরে আধুনিক মহাসড়কগুলো আমেরিকান গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং অটোমোবাইল ও মোটরসাইকেলের জনপ্রিয়তার ফলে রাস্তায় ভ্রমণ সহজ হয়ে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রে মহাসড়কে দলে দলে উদ্ভ্রান্ত মোটরবাইকার তরুণও দেখা যায়।

১৯৪৮ সালের দিকে আমেরিকান লেখক জ্যাক কেরোয়াক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ব্যাপক মার্কিন তরুণদের বর্ণনা করার জন্য প্রথমবারের মতো ‘বিট জেনারেশন’ ব্যবহার করেন। এসব যুবক একটি সরল জীবন অনুসরণ করত, কাজ ও স্কুলকে ঘৃণা করত এবং বিশ্বে ঘুরে বেড়ানোকে আনন্দ হিসেবে বিবেচনা করত। তারা সেই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ করে প্রায় ডুবতে বসেছিল।

একদিকে চরম চেতনাশূন্যতা, অন্যদিকে বাস্তব জগতের উচ্চ-গতির নির্মাণকাজ পাশাপাশি চলছিল। হাইওয়েতে যেখানে গাড়িগুলো উচ্চ গতিতে ছুটে চলত, এক একটি গন্তব্যহীন ভ্রমণের পথে ছুটে চলা হিপ্পিরা যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এবং পশ্চিম উপকূল জুড়ে পৌঁছে যেতো এবং তরুণদের শূন্য ইচ্ছার মানসিকতা পূরণ হয়।

যুগের এই প্রেক্ষাপটে গাড়ি শুধুমাত্র পরিবহনের একটি মাধ্যমই নয়, একে আরো সুগভীর আধ্যাত্মিক চেতনাও যুক্ত হয়েছে। এটি জনগণের বিদ্রোহ এবং পালানোর আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। তাই সড়কগুলো ভ্রমণের পাল্টা সংস্কৃতির প্রতীকী প্রতীক হয়ে ওঠে।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn