চীনের দারুণ জনপ্রিয় অভিনেতা লিউ দ্য হুয়া বা অ্যান্ডি লাউ
চীনে লিউ দ্য হুয়া এই নামের পাশে কোনো ট্যাগ লাগে না। তিনি নিজেই বলেন, আমার নামের পাশে কোনো ট্যাগ লাগাতে চাইলে আমি বলতে চাই যে, আমি চীনা।
গত শতাব্দীর ৬০’র দশকে লিউ দ্য হুয়া হংকংয়ের তা ফু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রত্যাবর্তনের আগে নিজের পরিচয় নিয়ে তার একটি উদ্বেগ ছিলো। কাজ করতে বা ভ্রমণ করতে বিদেশে গেলে বিদেশিরা মাঝেমাঝে আমাকে জিজ্ঞাস করতেন যে, আমি কি ব্রিটিশ মানুষ?
অবশেষে হংকং চীনের কোলে ফিরে আসে। তিনি স্বীকার করেন, সেই সময় অধিকাংশ হংকংবাসী দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। তারা কোনো দ্বিধা বোধ করেনি। তবে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর হংকংয়ের ভবিষ্যত নিয়ে আমি খুব আশাবাদী।
১৯৮২ সালে লিউ দ্য হুয়া শুটিং করতে প্রথমবার হাইনান প্রদেশে যান। এ কাজে তিনি খুব অভ্যস্ত ছিলেন।
১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাসে তার নতুন গান ‘চীনা মানুষ’ প্রকাশিত হয়। এই গানের ভিডিও শুটিং করতে তিনি মহাপ্রাচীরে ওঠেন।
হংকংয়ের ‘লায়ন রক’ থেকে মহাপ্রাচীর পর্যন্ত লিউ দ্য হুয়া প্রথমবার অনুভব করেন যে, হংকংবাসীরা আনন্দের সঙ্গে সবাইকে জানাতে পারবে- তিনি একজন চীনা মানুষ।
চীনের কোলে ফিরে আসার পর লিউ দ্য হুয়া আগের চেয়ে আরো ঘন ঘন হংকং এবং মূলভূভাগের মধ্যে যাতায়াত করতেন।
২০০৮ সালে চীনের সিছুয়ান প্রদেশের ওয়েনছুয়ান ভূমিকম্পের পর লিউ দ্য হুয়া তহবিল সংগ্রহের জন্য হংকং-এ একটি দাতব্য অনুষ্ঠান করার আহ্বান করেন এবং সমবেদনা জানাতে দুর্যোগের সময় প্রথম সারিতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘তাদের জানাতে চান যে, তাদের পিছনে চীনা জনগণের সমর্থন রয়েছে।
তিনি হংকং এবং মেনল্যান্ডের ফিল্ম সহযোগিতায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। শুধুমাত্র একজন অভিনেতা হিসেবেই নয় বরং নতুনদের সমর্থনেও তিনি বিনিয়োগ করেন। ‘অনেক পরিচালক বা পর্দার পিছনের কর্মীরা বিভিন্ন ধরণের চলচ্চিত্রের সাথে জড়িত, যা ধীরে ধীরে হংকং এবং মূল ভুভাগের কাজের একে অপরের সাথে মিশে যেতে পারে এবং একে অপরের কাছাকাছি আসতে পারে।