‘থিঙ্ক লাইক আ ক্রো’ তথ্যচিত্র: জ্ঞানের চেয়ে জ্ঞান শিক্ষার যোগ্যতা আরো গুরুত্বপূর্ণ
জুন ২: আশা করি, ঈশপের উপকথায় ‘কাকের জল পান’ গল্পটি ছোটবেলায় শুনেছেন অনেকেই। কাক অর্ধেক বোতল জলে পাথর ফেলে দিত। এতে সে জল উপরে উঠে আসে, আর সহজেই সে জল পান করতে পারে। বেশিরভাগ লোকেরা একে শুধুমাত্র একটি গল্প হিসাবে মনে করে। তবে বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রমাণ হয়েছে যে, এটিই সত্য। রূপকথার এই গল্পটি আসলে মিথ্যা নয়। এটি প্রমাণ করে কাকের আইকিউ বেশ ভালো।
গবেষণায় দেখা যায়, কাক হলো সবচে বুদ্ধিমান পাখি, যার বুদ্ধি প্রায় ৫-৭ বছর বয়সী শিশুর সমান।
কাকের কিছুটা ভালো যৌক্তিক চিন্তা করার ক্ষমতা রয়েছে এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে স্ব-নির্মিত ম্যাচিং সরঞ্জামের মাধ্যমে খাদ্যের ব্যবস্থা করতে পারে। যা বেশিরভাগ প্রাণীর বুদ্ধিমত্তাকেই হার মানায়।
নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানবজাতির মতোই কাকেরও নিজেদের চেতনা আছে, অর্থাৎ বিশ্বকে বোঝার জন্য তাদের নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে।
কাকের পাশাপাশি, প্রাণীজগতের মধ্যে সাইবেরিয়ান হাস্কি-কে সবচে বুদ্ধিমান কুকুর বলে মনে করা হয়।
কাকের কান্না একটি অশুভ লক্ষণ হিসাবে মনে করা হয় এবং তাই লোকেরা তাকে ঘৃণা করে।
যাই হোক, চিরাচরিত চীনা সংস্কৃতিতে, ‘কাক মাতাপিতার সেবা করা এবং ভেড়ার বাচ্চা নতজানু হয়ে দুধ খাচ্ছে, এগুলো হলো ফিলিয়াল ধার্মিকতার এক একটি বিখ্যাত উদাহরণ। ‘Compendium of Materia Medica ’ নামে প্রথাগত চীনা মেডিসেন বইটিতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে যে, এই কাকটি জন্মগ্রহণ করে, মা ৬০ দিন তাকে খাওয়ান এবং যখন কাক মা বৃদ্ধ হয়ে যায় এবং উড়ে বেড়াতে অক্ষম হয়, তখন ছোট কাক ৬০ দিন তার মাকে খাওয়ায়। একে হৃদ্যতা ও ভদ্রতা বলা যেতে পারে।
লোকে বলেন, আবেগ সরাসরি বুদ্ধিমত্তার সমানুপাতিক। কাকের উচ্চ আইকিউর কারণে তারা এমন আচরণ করে, যা অন্য পাখিরা পারে না। আমাদের এই ‘পাখিদের পর সাইবেরিয়ান হাস্কিগুলোকে’ ভিন্নভাবে দেখা উচিত এবং হয়তো আমরা এর থেকে মানবজাতির সীমিত চিন্তা ভেঙে দেওয়ার কিছু প্রজ্ঞা শিখতে পারি।
আজকের অনুষ্ঠানে কাকের চিন্তাধারা সংক্রান্ত একটি প্রামাণ্যচিত্রের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।
এটি একটি জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক ডকুমেন্টারি, যা বিশেষভাবে শিশুদের জন্য জাপানের এনএইচকে এডুকেশন চ্যানেলের উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য হল শিশুদের স্বাধীন চিন্তাভাবনা গড়ে তোলা, আলোকিত করা ও শিশুদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুশীলন ও চর্চা করে দেওয়া।
যদিও এটি শিশুদের দেখার জন্য তৈরি করা হয়েছে, তবে এনএইচকের উদ্যোগে নির্মিত শিশুদের জ্ঞানার্জনের শিক্ষামূলক তথ্যচিত্রের মান সবসময়ই উচ্চে থাকে। এটি একটি আকর্ষণীয় ও মজাদার পদ্ধতিতে বিজ্ঞানকে বলে দেয় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এটি উপভোগ্যও বটে। এ তথ্যচিত্রের নাম হলো ‘Think Like a Crow!’।
এই প্রামাণ্যচিত্রের মোট ২০টি পর্ব আছে এবং প্রত্যেক পর্ব ১০ মিনিট মাত্র। প্রত্যেক ভিডিওতে তিনটি অংশ আছে এবং জাপানের বিখ্যাত অভিনেত্রী ইউ ওই ভিডিওতে উপস্থাপক হিসেবে পরীক্ষার ব্যাখ্যা করেছেন।
বিবিসি একবার প্রোগ্রামে কাকের বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞানীদের আমন্ত্রণ জানান। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য কাকগুলোকে আটটি ধাপে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হয়।
পরীক্ষাটিকে ‘এখন পর্যন্ত প্রাণীদের জন্য পরিচালিত সবচে কঠিন বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা’ বলে মনে করা হয়।
যাই হোক, এই খুব জটিল পরীক্ষা সম্পূর্ণ করতে কাকগুলোর মাত্র কয়েক মিনিট সময় লেগেছিল।
ব্রিটেনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ বার্ড বলেছেন, ‘কাকের কিছু সহজাত বুদ্ধিমত্তা এবং জটিল চিন্তা করার ক্ষমতা রয়েছে। কাক সক্রিয়ভাবে সমস্যা নিয়ে চিন্তা করতে পারে এবং পরীক্ষায় দেওয়া বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারে। একটি কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে সফল না হওয়া পর্যন্ত কাক বারবার চেষ্টা করতে থাকে ও সমস্যার সমাধান বের করে ফেলে।
কাক খুব বুদ্ধিমান পাখি এবং তারা সরঞ্জাম ব্যবহারের আগে এবং ব্যবহারের প্রক্রিয়া নিয়ে জটিল চিন্তা করতে পারে। ‘থিঙ্ক লাইক আ ক্রো’-এ, প্রতিটি পর্বে তিনটি অংশ ব্যবহার করে দেখানো হয়েছে যে, কাকগুলো কীভাবে চিন্তা করে। বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার চারটি ধাপ অর্থাত্- পর্যবেক্ষণ, অনুমান, পরীক্ষা ও মূল্যায়নের মাধ্যমে দর্শকদের কাকের মতো স্বাধীন চিন্তাভাবনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কাক কাঁচের বোতলের নীচের পানি পান করার জন্য কয়েকটি নুড়ি ব্যবহার করে।
প্রতিটি পর্বের প্রথম অংশের নাম হলো ‘পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে চিন্তা করুন’। এতে দর্শকদেরকে কিছু পরীক্ষা দেখানো হয়। পরীক্ষায় দেখানো এসব রহস্যময় ঘটনাগুলো দৈনন্দিন জীবনে মানুষ লক্ষ্য করে না। তথ্যচিত্রের পরীক্ষাগুলো দেখার পর, লোকেরা নিজেদের জীবনের নানা বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করে। তারা বলে, এই অবস্থা সর্বদা বিদ্যমান, কেন আমি তা লক্ষ্য করিনি?
একটি উদাহরণ জানাই। একটি ধাতব মুদ্রা জলে ভাসে। তবে এটিকে কাপের প্রান্তে ঠেলে দিলে দেখা যায়, এটি বার বার পানির মাঝখানে ফিরে আসে। অন্যদিকে, কাঠের একটি টুকরা বিপরীত আচরণ করে। আপনি কাপের যে কোনো দিকে কাঠের টুকরা ঠেলে দিলে, সেটি সবসময়ই কাপের প্রান্তে ফিরে আসে।
আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, যখন কাপটি জল দিয়ে ভরা হয়, তখন পরিস্থিতি উল্টে যায়। মুদ্রাটি কাপের প্রান্তে চলে যায় এবং কাঠের ব্লকটি মাঝখানে ভেসে যায়।
কিছু শারীরিক ঘটনার পাশাপাশি কিছু বিষয় রয়েছে, যা আমরা খুব কমই মনোযোগ দেই, যেমন একটি কচ্ছপের খোলস কীভাবে বৃদ্ধি পায়?
শুধু একটি রেখা আঁকলে পিঁপড়াগুলোর যাত্রা বন্ধ হয় এবং একটি বৃত্ত আঁকলে পিঁপড়ারা ভিতরে বন্দী হয়ে পড়ে। অব্যাহতভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর, বিস্ময়কর ঘটনা জানা যায়। পিঁপড়াগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই বৃত্তে বন্দী থাকার পরে একটি ‘অসংবেদনশীল’ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। শীঘ্রই এটি আর লাইনের সীমাবদ্ধ থাকে না। এটি অবাধে আসতে এবং যেতে পারে। পিঁপড়া কি ততক্ষণে স্মার্ট হয়ে যায়? না, আবার লাইন আঁকুন এবং পিঁপড়া আবারও আটকে যাবে। কিন্তু কেন?
কেন বাথটাবের পরিষ্কার জল নীল দেখায়? এটি একটি কাপে রাখলে তা কেন স্বচ্ছ দেখায়?
তথ্যচিত্রে আরো অনেক মজার ঘটনা দেখানো হয়, যা দৈনন্দিন জীবনে সবসময় দেখলেও খেয়াল করা হয়না।
প্রতি পর্বের দ্বিতীয় অংশ হলো ‘দেদেনিয়ন অ্যানিমেশন’। অ্যানিমেশনের নায়করা হলো দেদেনিয়ন নামে তিনটি কৌতূহলী শিশু, যারা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন ধারনা দেয় এবং অবশেষে অনুশীলনের মাধ্যমে উত্তর খুঁজে পায়।
দেদেনিয়নদের প্রশ্ন ও অনুমান সহজ মনে হতে পারে, কিন্তু তারা বৈজ্ঞানিক চিন্তার মৌলিক অংশ। প্রায়শই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলো এসব আপাতদৃষ্টিতে অর্থহীন চিন্তা থেকে আসে।
নইলে কত মানুষ আপেলের আঘাতে পায়, শুধু আইসাক নিউটন কেন মহাকর্ষ বল আবিষ্কার করলেন?
পর্বের তৃতীয় অংশে উপস্থাপক দর্শকদের নিয়ে মজার পরীক্ষা করেন।
উপস্থাপক ইউ ওই প্রশ্ন করেন এবং নিজেই দর্শকদের কাছে পরীক্ষাগুলো দেখান।
যেমন ধরুন, কাঁচ দিয়ে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের মোমবাতি ঢেকে রাখুন, কোনটি প্রথমে নিভে যায়? দীর্ঘটা প্রথমে, ছোটটা প্রথমে নাকি দীর্ঘ ও ছোটটা একসাথে নেভে যায়?
দর্শকরা যখন পরীক্ষার ফলাফল দেখতে আগ্রহী হয়, তখন পরীক্ষা মাঝপথে থেমে যায়। চিন্তা করার সময় দেওয়া হয়। প্রত্যেক পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে না।
আরেকটি মজার পরীক্ষা দেখবো। একই উচ্চতা থেকে প্লেট এবং বেলুন একই সময় ছেড়ে দিলে, প্লেটটি বেলুনের আগে মাটিতে পড়ে যাবে। কিন্তু প্লেটে বেলুন রাখলে একই সঙ্গে মাটিতে পড়ে যায় দুটি।
কেন এটা ঘটে?
এই তথ্যচিত্রটি আমাদের বলে দেয় যে, কীভাবে সমস্যা নিয়ে ভাবতে হয়, তা পর্যবেক্ষণ বা অনুমান করা, নিজ উদ্যোগে উত্তর খুঁজতে হয়, এটিই সঠিক দিকনির্দেশনা।
প্রথমত, আমাদের একটি সমস্যা বুঝতে হবে: শিশুর প্রতিভা আইকিউ’র উপর নির্ভর করে না, বরং চিন্তাভাবনার উপর নির্ভর করে। আলবার্ট আইনস্টাইন একবার বলেছিলেন, ‘স্বাধীন চিন্তাভাবনা এবং স্বাধীন বিচারের সাধারণ ক্ষমতাকে সর্বদা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।’ ছোটবেলা থেকেই স্বাধীন চিন্তার অভ্যাস গড়ে তোলা শিশুদের জন্য একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ‘কিন্তু স্বাধীন চিন্তা করার ক্ষমতা’ কী এবং আমরা কীভাবে শিশুদের চিন্তা করার ক্ষমতা তৈরি করতে পারি?’ বেশিরভাগ অভিভাবক সবসময় এমন ধরনের প্রশ্ন নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং চিন্তিত থাকেন যে, তাদের সন্তানরা চিন্তা করতে পারে না।
সহজভাবে বলা হয়, ‘চিন্তা করার ক্ষমতা’ মানে কারোর উদ্যোগে সেট করা একটি নির্দিষ্ট আদর্শ উত্তর খোঁজা নয়, বরং গভীরভাবে চিন্তা করার এবং সক্রিয়ভাবে উত্তর খোঁজার ক্ষমতা। স্বাধীন চিন্তার দক্ষতার বিকাশ হল শিশুদের ‘কীভাবে ভাবতে হয়’ এবং ‘কী ভাবতে হয়’ শেখানোর প্রক্রিয়া। আমরা যদি সরাসরি শিশুকে উত্তর দেই, তাহলে সময়ের সাথে সাথে শিশুর চিন্তা করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে। যখন একটি শিশু ‘ইন্ডোকট্রিনেশন লার্নিং’ নিয়ে বিরক্ত হয়, তখন ‘লার্নিং এন্ড পয়েন্ট’ এমন একটি ভীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ, যখন একটি শিশু স্কুল ছাড়ার পর তখন শিখতে অনিচ্ছুক হবে।
বর্তমানে আমাদের সন্তানরা লেখাপড়ার আরো ভাল ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রতিদিন হোমওয়ার্ক করে এবং নানা রকম ক্লাসে যোগ দিতে ব্যস্ত থাকে। তারা জীবনের নানা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে পারে কি? হয়তো পর্যবেক্ষণ করে, কোন সমস্যা হয় কি? যেসব শিশু চিন্তা করে, পরীক্ষা করে, যাচাই করে এবং সিদ্ধান্তে আসে, তারা কঠিন প্রতিযোগিতার সামনে দাঁড়াতে পারবে? আমাদের শিশুরা স্কুলে, বাড়িতে, সামাজিক শিক্ষায় ঠিক কী শিখতে চায়? জ্ঞান, দক্ষতা... সব থেকে মৌলিক জিনিস একটি বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার পদ্ধতি।
ইয়েল ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন প্রিন্সিপাল রিচার্ড লেভিন একবার বলেছিলেন, ‘সত্যিকারের শিক্ষা কোনো জ্ঞান ও দক্ষতা দেয় না। তবে মানুষকে যে কোনো শৃঙ্খলা ও পেশায় দক্ষ করে তুলতে পারে। এটাই প্রকৃত শিক্ষা।’
শিক্ষক, অভিভাবক ও প্রতিকারমূলক ক্লাস থেকে শিশুরা কীভাবে স্বাধীনভাবে শিখতে পারে, মূল বিষয় হলো স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা। ডকুমেন্টারি ‘থিঙ্ক লাইক এ ক্রো’ শিশুদের বলতে চায় যে, আপনার চোখ দিয় এই বিশ্ব পর্যবেক্ষণ করুন এবং প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন, প্রশ্ন সম্পর্কে চিন্তা করুন, অনুমান সামনে রাখুন এবং সাহসের সাথে কথা বলুন। ব্যর্থ হওয়া ঠিক আছে, পাঠ শিখুন এবং আবার শুরু করুন। এই ধাপে ধাপে প্রক্রিয়ায় বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা করতে শিখুন এবং নিজের জীবনে এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করুন। ফলে আপনি একজন ‘শীর্ষ ছাত্র’ হতে পারবেন।
এই ডকুমেন্টারির শিরোনামের মতোই, আশা করা যায় যে, দর্শকরা ‘কাকের মতো ভাবতে পারবে’ ও যুক্তিবোধ ব্যবহার করতে পারবে।
এই ডকুমেন্টারিটি দেখার পরে, কেউ বলেছিলেন, ‘আমরা যদি নিউটন হতাম, তবে আমরা আমাদের জীবনের অনেক আপেল উপেক্ষা করতাম।’ প্রকৃতপক্ষে, জীবনের ছোট ও সহজেই উপেক্ষা করার বিষয়গুলোর পেছনে বৈজ্ঞানিক তথ্য থাকে।
কাকের অল্প তথ্য আছে এবং অন্য পাখির চেয়ে তারা বুদ্ধিমান। মানুষ হিসাবে আমাদের আইকিউ সুবিধা সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞান আবিষ্কার করতে, সমস্যা সমাধান করতে এবং বিশ্বকে আরো সুন্দর করে তোলার জন্য শক্তিশালী স্বাধীন চিন্তা করার ক্ষমতা অনুশীলন করা উচিত্।
লিলি/তৌহিদ/শুয়ে