হলিউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক অলিভার স্টোন
সম্প্রতি হলিউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক এবং তিনবার অস্কার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী অলিভার স্টোন এবং তার ছেলে শিন স্টোন সিনহুয়া বার্তা সংস্থাকে একটি সাক্ষাত্কার দিয়েছেন। তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ সৃষ্টিতে আসক্ত এবং অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে অযৌক্তিকভাবে পদদলিত করে। এর কারণ হল- মার্কিন অর্থনীতি সামরিক শিল্পের উপর অনেক নির্ভরশীল এবং গোয়েন্দা সংস্থা ও সামরিক কর্তৃপক্ষ মার্কিন রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে।
অলিভার স্টোন ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। তিনি ‘Platoon’, ‘Wall Street’, ‘jfk’এবং ‘Born on the Fourth of July’সহ বিভিন্ন চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে বিশ্ববিখ্যাত হয়ে ওঠেন। সেই সঙ্গে তিনি ছিলেন লেখক ও ঐতিহাসিক। তিনি সাংবাদিক হিসেবে ভেনিজুয়েলার সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ, কিউবার সাবেক নেতা ফিদেল কাস্ট্রো এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাত্কার নিয়েছেন। চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব হিসেবেই তিনি এখন বর্তমান রাজনৈতিক ভাষ্যকার।
সাক্ষাত্কারে অলিভার স্টোন বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর Military Keynesianism সামরিক কিনেসিয়ানিজম দেখা দেয়। মার্কিন রিপাবলিকান পার্টি এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলো যে, যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ২০ শতাব্দীর ৩০ দশকের পর আবারও বিষণ্ণতায় পড়ে। তাই মার্কিন অর্থনীতির পতন ঠেকাতে অর্থনীতিকে সামরিকীকরণ করা এবং সামরিক শিল্পে পুঁজি বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিলো। যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আসছে। কারণ যুদ্ধ করার চেয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া বেশি লাভজনক।
সম্প্রতি অলিভার স্টোন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট জন কেনেডি’র গুপ্তহত্যা বিষয়ক এক তথ্যচিত্র শুটিং করেছেন। তিনি সাংবাদিককে বলেন, কেনেডি বলেছিলেন যে, ‘আমি নিশ্চিত নই যে, আমি সত্যিই পুরো সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কারণ সামরিক এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আমার পিছনে গোপনে কাজ করছে।’