বাংলা

চীনা চলচ্চিত্রের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন-China Radio International

criPublished: 2021-10-21 11:13:22
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

সিনে ফিল্ম যুগ থেকে ডিজিটাল চলচ্চিত্রের সহাবস্থান এবং ডিজিটাল চলচ্চিত্র যুগে প্রবেশ করা পর্যন্ত চলচ্চিত্র শিল্পে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মৌলিক পরিবর্তন হয়েছে।

মহামারীর পরবর্তী যুগে চীনের চলচ্চিত্র শিল্প কীভাবে নানা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সঙ্গে লড়াই করবে? কীভাবে বড় স্ক্রিনে প্রদর্শিত চলচ্চিত্রের গুণগত মান বাড়বে? কীভাবে দর্শকগণ প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে চলচ্চিত্র উপভোগে আগ্রহ পাবে?

সম্প্রতি একাদশ বেইজিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ফোরামে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট মানুষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে চলচ্চিত্রকে উন্নত করা এবং চীনের চলচ্চিত্র শিল্পের উচ্চমানের উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

চলচ্চিত্র হলো প্রযুক্তিগত অগ্রগতির পণ্য এবং চলচ্চিত্রের বিকাশ অবশ্যই প্রযুক্তি দ্বারা চালিত হতে হবে। ‘মূল প্রযুক্তিগত সাফল্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই স্বাধীন উদ্ভাবনের পথ অবলম্বন করতে হবে।’ চায়না ইনস্টিটিউট অফ ফিল্ম সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র প্রধান চাং ওই বলেন, চীনা চলচ্চিত্র প্রযুক্তির বিকাশ ‘বরফ ভাঙা’ থেকে ‘ওঠা’ পর্যন্ত একটি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চায়না ফিল্ম টেকনোলজি অত্যাধুনিক, মৌলিক ও মূল প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়নকে শক্তিশালী করে তুলেছে এবং বড় ধরনের নানা প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধান করেছে, এতে যুগান্তকারী অগ্রগতিও অর্জিত হয়েছে।

২০১১ সালে স্বাধীন মেধাস্বত্বের অধিকারী ‘চায়না জায়ান্ট স্ক্রিন’-এর জন্ম হয়। এবার চায়না ফিল্ম টেকনোলজি প্রথমবারের মতো হাই-এন্ড জায়ান্ট স্ক্রিন প্রজেকশন মার্কেট বিদেশি ব্র্যান্ডের একচেটিয়া আধিপত্য ভেঙে দিয়েছে।

তারপর থেকে চায়না ফিল্ম টেকনোলজি ধারাবাহিকভাবে লেজার প্রজেকশন, ফিল্ম ক্লাউড প্রোডাকশন এবং থ্রিডি স্টেরিওস্কোপিক প্রজেকশন সিস্টেমে প্রযুক্তিগত সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৯ সালে, চীনের প্রথম CINITY সিস্টেমটি শাংহাই সিনেমাসে চালু হয়েছিল, যা উদ্ভাবনী ফোর-কে, থ্রি-ডি, উচ্চ উজ্জ্বলতা, উচ্চ ফ্রেম রেট, উচ্চ গতিশীল পরিসীমা, প্রশস্ত রঙের পরিধি, নিমজ্জিত শব্দ এবং অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তি দিয়ে সারা বিশ্বে ফিল্ম প্রজেকশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মানে পরিণত হয়েছে।

চাং বলেন, আজকাল, চীনা চলচ্চিত্র প্রযুক্তি বিশ্বের চলচ্চিত্র প্রযুক্তির ‘নেতার’ পদে আসীন হচ্ছে।

চীনের ফিল্ম সায়েন্স ও টেকনোলজি সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হওয়া এবং শিল্প ব্যবস্থা ক্রমশ সম্পূর্ণ হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘The Wandering Earth’ এবং ‘The Battle at Lake Changjin’সহ বিভিন্ন শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্ম হয়, এসব চলচ্চিত্রের স্পেশাল এফেক্টস দেশীয় কোম্পানি দিয়ে করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক উচ্চ মানে পৌঁছেছে।

‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনা চলচ্চিত্রগুলো দ্রুত বিকাশের মূল কারণ হলো চলচ্চিত্র প্রযুক্তির বিকাশ এবং এ নিয়ে গবেষণা ও ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া। চায়না ফিল্ম আর্কাইভের ডেপুটি ডিরেক্টর চাং সিও কুয়াং মনে করেন যে, চীনা চলচ্চিত্রগুলোকে সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ দিয়েছে। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের গতি এবং প্রযুক্তিগত প্রয়োগের ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।

প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ এবং নতুন গণমাধ্যমের পুনরাবৃত্তিমূলক ইন্টিগ্রেশন চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য উচ্চ মানের দাবি জানিয়েছে এবং ঐতিহ্যবাহী সিনেমা প্রজেকশনেও একটি নির্দিষ্ট প্রভাব ফেলেছে। চায়না ফিল্ম লিমিটেড কোম্পানির প্রধান প্রকৌশলী লেই চেন ইয়ু বলেন, চীনের চলচ্চিত্র শিল্পের ডিজিটাল রূপান্তরের পর থেকে প্রযুক্তিগত বিপ্লবের মাধ্যমে চীনের চলচ্চিত্র শিল্প দশ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, অডিও ও ভিডিও ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা ও প্রয়োগ চলচ্চিত্র শিল্পে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বিশাল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। কিভাবে দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে ফিরিয়ে আনতে হবে তা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের প্রযুক্তিগত সৃজনশীলতার ওপর নির্ভর করে চলচ্চিত্রের সামষ্টিক গুণগত মান এবং চলচ্চিত্র উপভোগের অনুভূতি উন্নত করা উচিত্।

চলচ্চিত্র-সংক্রান্ত লোকেরা বিশ্বাস করেন, প্রেক্ষাগৃহ শেষ হয়ে যাবে না এবং আরও প্রযুক্তিগত ও আরো ভালোভাবে বিকশিত হবে। চলচ্চিত্র প্রযুক্তির ক্রমাগত অগ্রগতি এবং শৈল্পিক অভিব্যক্তির ক্রমাগত উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহ আগের মতো ভবিষ্যতেও একটি মোহনীয় স্থানে পরিণত হবে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn