হংকংয়ে ‘১৯২১’ মুভি’র প্রদর্শন-China Radio International
রক্ত ও মাংসের একদল তরুণ নিজেদের জীবন দিয়ে সত্য অনুসন্ধান করেছেন। তাদের মধ্যে প্রত্যেকই কিংবদন্তির মতো এবং প্রত্যেককে নিয়েই একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যায়। হুয়াং চিয়েন সিন বলেন, চলচ্চিত্রে ব্যাপক তরুণ অভিনেতা ও অভিনেত্রী রয়েছে। চলচ্চিত্রের ভাষার মাধ্যমে সেই অবিস্মরণীয় ইতিহাস তুলে ধরা এবং এ থেকে আধুনিক তরুণ তরুণীদের মানসিক অনুপ্রেরণা দেওয়া হয়।
ওয়াং রেন চুন নামে জনৈক তরুণ অভিনেতা চলচ্চিত্রে মাও চে তোংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুটিং প্রক্রিয়া হলো শিক্ষা অর্জনের প্রক্রিয়া বলে তিনি মনে করেন। আমরা অনেক মূল্যবান ঐতিহাসিক তথ্য পড়েছি, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে অনেক মূল্যবান চিঠি ও হাতে লেখা প্রবন্ধ। খুব কাছে থেকে সেই ইতিহাস জানতে পেরে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে আমার অনুভূতি দর্শক- বিশেষ করে তরুণ দর্শকদের পৌঁছে দিতে চাই বলে তিনি জানান।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুল-ধারার চলচ্চিত্রে মাঝেমাঝে হংকংয়ের চলচ্চিত্র ব্যক্তিদের দেখা যায়। যেমন, ‘The Founding of a Republic’, ‘Beginning of the Great Revival’ এবং ‘The Founding of An Army’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে হংকংয়ের অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের মুখ দেখা গেছে। হংকংয়ের পরিচালক অ্যান্ড্রু লাউ ‘The Founding of An Army’ নামের চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন।
রোজাম এন্টারটেনমেন্ট হোল্ডিংন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান পিটার ল্যাম কিন কোক ‘১৯২১’ নামে মুভি-সহ বেশ কয়েকটি মুল-ধারার চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বলেন, সিপিসি’র নেতৃত্বে চীনা জাতির মাথা তুলে দাঁড়ানো, ধনী হওয়া এবং শক্তিশালী হওয়ার ঐতিহাসিক ঘটনা বাস্তবায়িত হয়েছে। হংকংয়ে উন্নয়নের পথ ঠিক করার পর দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও স্থিতিশীলতা আবার ফিরে এসেছে। ‘১৯২১’ নামের মুভিটি এই প্রেক্ষাপটে প্রদর্শিত হয়েছে। এর মাধ্যমে আরো ভালোভাবে দেশের ক্ষমতাসীন পার্টি সম্পর্কে জানা, সিপিসি’র ইতিহাস, শুরুর উদ্দেশ্য এবং দেশ প্রশাসনের চিন্তাধারা অনুধাবন করা, ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নিয়ে হংকংবাসীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো এবং দেশের উন্নয়নে হংকংয়ের সমন্বয় ঘটানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।