অ্যানিমেশনের মাধ্যমে চীনা গল্প তুলে ধরা তরুণ-তরুণী-China Radio International
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সমাজ ও অথনীতির উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চীনা সংস্কৃতির প্রভাবও অব্যাহতভাবে বাড়ছে। চীনা গল্প, চীনবিষয়ক বিভিন্ন বস্তু ও চীনা উপাদান অধিক থেকে অধিকতর চলচ্চিত্র ব্যক্তিদের রচনার অনুপ্রেরণার উত্স হয়ে ওঠে। চলচ্চিত্রের ব্যাপক ধরণের মধ্যে অ্যানিমেশন নিঃসন্দেহে আরো প্রচলিত ও গ্রহণযোগ্য। যা আরো ভালোভাবে সংস্কৃতির পার্থক্য অতিক্রম করতে এবং বিভিন্ন দেশ ও জাতির মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বাস্তবায়ন করতে পারে।
চলতি বছর বসন্ত উত্সবের ছুটির সময় প্রদর্শিত ৭টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘New Gods: Nezha Reborn’ নামে অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি চীনের পুরাণ অনুযায়ী বিশেষ ভিজুয়াল স্টাইল দিয়ে চলচ্চিত্র মহল এবং দর্শকদের স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রাচীন পুরাণ এবং আধুনিক নান্দনিকতা এ চলচ্চিত্রে সমন্বয় করা হয়। এই সাহসী ও কল্পনায় ভরপুর সৃজনশীলতা বেইজিংয়ের একদল জাতীয় অ্যানিমেশন প্রেমী থেকে আসে। ‘New Gods: Nezha Reborn’ নামে অ্যানিমেশন হলো ‘New Gods’ নামে তাদের সিরিজ অ্যানিমেশনের প্রথম পর্ব। ‘New Gods’ হবে চীনা পৌরাণিক নায়ক গল্প অবলম্বনে নির্মিত পুরো বিশ্বদর্শনসম্পন্ন আধুনিক সংস্করণ।
তারা চীনের জাতীয় সংস্কৃতির ভিত্তিতে ঐহিত্যবাহী এবং আধুনিক উপাদানে মিল খুঁজে পেয়ে আধুনিক পদ্ধতি ও তরুণের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে চীনা গল্প প্রকাশ করেন। বিশ্বের কাছে চীনা গল্প ও চীনা সংস্কৃতির কাছাকাছি চলে যাওয়ার নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
ব্রিটেনের বিখ্যাত পরিচালক ম্যালকোম ক্লার্ক চীন ও পশ্চিমা জগতের মধ্যে সেতু তৈরি করতে চান
‘চীনের পুনরুত্থান হলো ২১ শতকের বৃহত্তম সংবাদ’। ৮ এপ্রিল সিনহুয়া বার্তা সংস্থার কাছে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে অস্কার বিজয়ী ব্রিটিশ তথ্যচিত্র পরিচালক ম্যালকোম ক্লার্ক একথা বলেছেন। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পশ্চিমা জগতের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্বের সেতু স্থাপন করতে চান তিনি।