সি চিন পিংয়ের আসন্ন পেরু সফর প্রসঙ্গ
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শব্দ : সহযোগিতা
‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ উত্থাপনের পর, আন্তর্জাতিক সমাজে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের অনেক দেশ এতে অংশ নেওয়ার দৃঢ়প্রতিজ্ঞাও প্রকাশ করে। ২০১৯ সালে, চীন ও পেরু ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর আওতায় সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষর করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর আওতায় দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা ফলপ্রসূ হয় এবং অর্থনীতি, বাণিজ্য, অর্থ ও মানবিক ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ক্রমশ ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর হয়ে ওঠে।
চলতি বছরের জুনে পেরুর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠককালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেন, চীন টানা ১০ বছর ধরে পেরুর বৃহত্তম রফতানি-বাজার। পেরুতে চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবিকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ও করছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিমের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান বাজার-দেশ ও ‘গ্লোবাল দক্ষিণ’-এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে, চীন ও পেরু অব্যাহতভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর যৌথ নির্মাণকাজকে এগিয়ে নিয়েছে, যা কেবল উন্নয়নকেই উত্সাহিত করবে না, বরং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পুনরুজ্জীবনও ত্বরান্বিত করবে।
তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ শব্দ: মূল উদ্দেশ্য
২০২৩ সালের নভেম্বরে, যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে ৩০তম এপেক অর্থনৈতিক শীর্ষনেতৃবৃন্দের অনানুষ্ঠানিক বৈঠককালে প্রেসিডেন্ট সি’র কাছে পেরুর প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আপনাকে উষ্ণ আমন্ত্রণ জানাতে চাই এই আশায় যে, আপনি ২০২৪ সালের এপেক অর্থনৈতিক শীর্ষনেতৃবৃন্দের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে অংশ নেবেন এবং পেরুতে পুনরায় রাষ্ট্রীয় সফর করবেন।’
২০১৩ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এপেক অর্থনৈতিক শীর্ষনেতৃবৃন্দের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে অংশগ্রহণ বা সভাপতিত্ব করে আসছেন। এবারের লিমায় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে পুরোপুরিভাবে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে চীনের ধারাবাহিক মূল উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হবে।