চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় চীনের দুষ্প্রাপ্য পণ্যের প্রদর্শন
নভেম্বর ১২: সপ্তম চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা গত ১০ নভেম্বর শেষ হয়েছে। ফ্রান্সের L'Oreal কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক ও ফ্রান্স-চীন কমিটির কো-চেয়ার চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই অষ্টম চীন আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণের জন্য বুকিং দিয়েছি। এটি একটি সুদীর্ঘকালের প্রতিশ্রুতি।’ L'Oreal কোম্পানি বিগত সাতটি মেলাতেও অংশগ্রহণ করেছে। এর মতো আরও বৈশ্বিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই পরবর্তী চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় অংশগ্রহণের আশায় আছে।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুসারে, সপ্তম চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা ফলপ্রসূ হয়েছে। এবার মেলার টার্নওভার ছিল ৮০০১ কোটি মার্কিন ডলার, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২.০ শতাংশ বেশি; ১২৯টি দেশ ও অঞ্চলের ৩৪৯৬টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেয়, যার মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ৫০০টি প্রতিষ্ঠানের রেকর্ডসংখ্যক এবার অংশগ্রহণ করে; ১৮৬টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান সবগুলো মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। এবারের মেলায় ৪৫০টি নতুন পণ্য, নতুন প্রযুক্তি ও নতুন পরিষেবা প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হয়েছে। বাণিজ্য ও পুঁজি বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বাস্তব সহযোগিতা সামনে এগিয়েছে।
চীনের গৃহীত ধারাবাহিক উন্মুক্তকরণ নীতিমালা বিদেশী বন্ধুদের জন্য বরাবরই আনন্দদায়ক। গত ৮ নভেম্বর চীনের ‘ভিসামুক্ত বন্ধু চক্র’ সম্প্রসারিত হয়েছে। নতুন করে স্লোভাকিয়া ও নরওয়েসহ নয়টি দেশকে ভিসামুক্ত সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। কয়েক দিন আগে, চীনের উত্পাদন খাতে সমস্ত বিদেশী বিনিয়োগের অ্যাক্সেস বিধিনিষেধকে ‘শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে’; পয়লা ডিসেম্বর থেকে চীন কমপক্ষে উন্নত দেশগুলোতে শুল্কযুক্ত আইটেমগুলোর ১০০ শতাংশকে শূন্য-শুল্ক সুবিধা দেবে।
বর্তমানে বিশ্বে বিশ্বায়নবিরোধী প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে; একতরফাবাদ ও বাণিজ্যে সংরক্ষণবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে; উন্মুক্ততা ও সুযোগ-সুবিধা দুর্লভ হয়ে উঠছে। সপ্তম চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা চলাকালীন প্রকাশিত ‘বিশ্ব উন্মুক্তকরণ রিপোর্ট—২০২৩’ অনুসারে, ২০২৩ সালে বিশ্ব উদ্বোধন সূচকটি ২০২২ সালের তুলনায় ০.১২ শতাংশ পয়েন্ট কম ছিল, যা ২০১৯ ও ২০০৮ সালের তুলনায় পৃথক পৃথকভাবে ০.৩৮ ও ৫.৪৩ শতাংশ পয়েন্ট কম। শক ও সংকোচনের প্রবণতা সুস্পষ্ট। বিপরীতে, ২০২৩ সালে চীনের উদ্বোধন সূচকটি ২০০৮ সালের তুলনায় ১১.৮৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, প্রবৃদ্ধির হার বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে।
বর্তমানে, বাইরের বিশ্বে চীনের পণ্যই শুধু যাচ্ছে না, বিদেশী পণ্য ও সেবাও চীনের বাজারে অনেকটা অবাধে প্রবেশ করছে। সিআইআইই ও ভিসা-মুক্ত নীতিমালা চীনকে বিশ্ব অর্থনীতির সাথে আরও গভীর ও বিস্তৃতভাবে সংযুক্ত করেছে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি