চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা ও উন্মুক্তকরণ
চলতি বছর, নরওয়ে প্রথমবারের মতো আমদানি মেলায় একটি জাতীয় প্যাভিলিয়ন স্থাপন করেছে। নরওয়েজিয়ান বোতলজাত পানীয় জলের ব্র্যান্ড ভোস চায়নার ব্যবস্থাপক হুয়াং ইয়ুশেং বলেন, ২০১৮ সালে হুপেইতে ভোস-এর প্রাকৃতিক খনিজ জলের উত্পাদন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এবারের আমদানি মেলায় এই কোম্পানি নিজের ধারাবাহিক অবিরাম উন্নয়নের ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য ভাগাভাগি করেছে।
রাশিয়ান হায়ার ইউনিভার্সিটি অফ ইকোনমিক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমদানি মেলা বিভিন্ন দেশের পণ্য ও প্রযুক্তির বিনিময় বাড়াতে সহায়ক। এই মেলা বৈশ্বিক উন্নয়নে নতুন চালিকাশক্তি যোগাতে পারে।
বিশ্বের জন্য কল্যাণকর আমদানি মেলা, যা বিভিন্ন দেশের সহযোগিতা ও পারস্পরিক কল্যাণের বড় মঞ্চ। নেদারল্যাণ্ডসের আন্তর্জাতিক কসমেটিক্স চেইনের একটি কোম্পানি এ বছর প্রথমবারের মতো আমদানি মেলায় অংশগ্রহণ করে। এই কোম্পানির আন্তর্জাতিক প্রধান অপারেটিং অফিসার বলেন, এই কোম্পানি চীনে আরও বড় হবে বলে প্রত্যাশা করছে। কোম্পানি সবসময় চীনা বাজারের ওপর আস্থাবান।
নিকারাগুয়ান সান মার্টিন মিট প্রোডাক্টস কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার এমিলিও ক্যালডেরা বলেন, আমদানি মেলা শুধুমাত্র বড় কোম্পানির জন্য দরজা খুলে দেয় না, বরং নিকারাগুয়ান ছোট ও মাঝারি আকারের উদ্যোগগুলোর জন্য একটি প্ল্যাটফর্মও প্রদান করে।
মিসরের রাজনীতি, অর্থনীতি, হিসাব ও আইন প্রণয়ন সমিতির সদস্য ভালিদ মনে করেন, আমদানি মেলা কেবল যে আমদানিকৃত পণ্যগুলোর মহাসম্মিলনী, তা নয়; বরং উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি বড় দরজা খুলে দিয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে মিলন ও সহযোগিতার সেতু স্থাপন করেছে এই মেলা। আমদানি মেলা বিভিন্ন দেশের জন্য, চীন ও বৈশ্বিক বাজারে পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ সৃষ্টি করে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।