৭ম চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা চলছে
মেলায় চীনের সর্বশেষ প্রযুক্তিগত অগ্রগতি প্রদর্শন করা হয়েছে। যার মধ্যে আছে ছাংএ্য-৬ চন্দ্র প্রোব, গভীর সমুদ্রের মানুষ বহনকারী সাবমারসিবল যান, হিউম্যানয়েড রোবট, এবং বিশেষ স্মার্টফোন। মেলায় ১২৯টি দেশের ৪০০টিরও বেশি নতুন পণ্য, প্রযুক্তি ও পরিষেবা প্রদর্শিত হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এবং সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলো ভুচেভিকের মতো বিভিন্ন নেতা অংশ নেন। ২৯৭টি ‘ফরচুন গ্লোবাল ৫০০’ কোম্পানির অংশগ্রহণ একটি রেকর্ড তৈরি করেছে। প্রদর্শনীতে ভবিষ্যতের নেটওয়ার্ক, গভীর সমুদ্র ও মহাকাশ উন্নয়ন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং নতুন শক্তির মতো ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রদর্শিত হয়।
হংছিয়াও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের অধীনে সাব-ফোরামগুলিতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং গ্রাহক উদ্দীপনা নিয়ে আলোচনা হয় এবং ২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড ওপেননেস রিপোর্ট এবং সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড ওপেননেস ইনডেক্স প্রকাশিত হয়। ৭ম সিআইআইই চীনের উচ্চ-স্তরের উন্মুক্ততার প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং বিশ্বের সাথে নতুন উন্নয়নের সুযোগগুলি ভাগ করার প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করেছে। গত ৬টি চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা বিশ্বজুড়ে ২,৫০০টিরও বেশি আধুনিক পণ্য এবং প্রযুক্তি প্রদর্শন করেছে। আমদানি ও বিনিয়োগ চুক্তির প্রস্তাবিত চিঠির মোট পরিমাণ ৪২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা চীনের নতুন মানের উন্নয়নে বড় অবদান রেখেছে এবং বিশ্বের জন্য বিশাল বাজার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনকে উচ্চ প্রযুক্তির দিকে তার আমদানি কাঠামো পরিবর্তন করার জন্য সিআইআইই-এর গুরুত্ব অনেক। মোট আমদানিতে উচ্চ-প্রযুক্তি পণ্যের অংশ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা চীনের আধুনিকায়নের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, ২০তম সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন সামগ্রিক গভীরতর সংস্কার এবং উন্মুক্তকরণের মৌলিক নীতিগত দিকনির্দেশনা ও পরিকল্পনা দিয়েছে।
মূলত, সিআইআইই চীনের একক প্রদর্শনী নয়, বরং এটি গোটা বিশ্বের সম্মিলিত মেলা। একটি শীর্ষস্থানীয় বাজার এবং চীনের উন্মুক্তকরণের প্রদর্শনী হিসাবে সিআইআইই ভূমিকা রাখছে।
গ্লোবাল টাইমস অবলম্বনে-
মোহাম্মদ তৌহিদ, সিএমজি বাংলা, বেইজিং।