চীনের মহাকাশ অনুসন্ধান কার্যক্রম প্রসঙ্গ
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৬ সালে ছাংএ্য-৭ এবং ২০২৮ সালের দিকে ছাংএ্য-৮ উৎক্ষেপণ করবে চীন। ছাংএ্য-৭ চন্দ্রের দক্ষিণ মেরুর পরিবেশ এবং সম্পদ অন্বেষণ করবে। ছাংএ্য-৮ চন্দ্রের সম্পদ চন্দ্রে ব্যবহারের প্রযুক্তিগত সম্ভাব্যতা যাচাই করবে। চন্দ্রে প্রস্তাবিত বৈজ্ঞানিক গবেষণাকেন্দ্রের ভিত্তিও স্থাপন করবে ছাংএ্য-৭ এবং ছাংএ্য-৮।
ইতোমধ্যেই চাঁদে গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন নিয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। চীনের সাথে ১৭টি দেশ ও অঞ্চলের আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা-চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সামগ্রিক মিশনের যৌথ প্রদর্শন, আন্তর্জাতিক চন্দ্র বৈজ্ঞানিক গবেষণা স্টেশনগুলোর যৌথ নকশা, প্রকল্প প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, সামগ্রিক মিশন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, ও বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত ভাগাভাগি করতে চীন ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে ব্যাপক সহযোগিতা করবে।
চাঁদ মানুষের গভীর মহাকাশ অনুসন্ধানের সূচনাবিন্দু। চায়নিজ একাডেমি অফ সায়েন্সেসের শিক্ষাবিদ ও চীনের চন্দ্র অনুসন্ধান প্রকল্পের প্রথম প্রধান বিজ্ঞানী ওউইয়াং চিইউয়ান একবার বলেছিলেন, চন্দ্র অন্বেষণ কেবল একটি সূচনাবিন্দু। আমরা আরও বিস্তৃত সৌরজগতের দিকে তাকিয়ে আছি। ভবিষ্যতে, মঙ্গল ও গ্রহাণুর মতো বহির্জাগতিক বস্তু অন্বেষণ, সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার মতো লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা হবে। তখন, তারার সমুদ্র অন্বেষণেও আত্মবিশ্বাস পাবে চীন।