চীনের বিদেশি বাণিজ্য স্থিতিশীলভাবে উন্নত হচ্ছে
অক্টোবর ১৬: ‘চীনের রপ্তানির পরিমাণ টানা তিন প্রান্তিকে উন্নত হয়েছে এবং অনেক নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। চীনের অর্থনীতির প্রতি বাজারের আস্থা বাড়ছে।’ সম্প্রতি চীনের বিদেশি বাণিজ্যের সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশের পর, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ইতিবাচক মন্তব্য করেছে। তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে চীনের পণ্য আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ৩২.৩৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫.৩ শতাংশ বেশি হয়েছে। এর মধ্যে রপ্তানি ৬.২ শতাংশ বেড়েছে, আমদানি ৪.১ শতাংশ বেড়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়, বিশ্ব অর্থনীতি এখনও পুনরুদ্ধার হচ্ছে, বিশ্ব বাণিজ্যের সংরক্ষণবাদ আরও জটিল হয়ে উঠছে। এ প্রেক্ষাপটে, চীন বিদেশি বাণিজ্যের স্থিতিশীল উন্নতি বাস্তবায়ন করেছে। যা সহজ ব্যাপার নয়।
উল্লেখ্য, এবারের উপাত্তে প্রথম দুটি ‘প্রথমবার’ ঘটেছে। প্রথমত, চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে চীনের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ প্রথম ৩২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়েছে, যা একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। দ্বিতীয়ত, প্রতি প্রান্তিকের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ১০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি, তা ক্রমশ উন্নত হাওয়ার ধারায় রয়েছে। যা একটি নতুন রেকর্ড। এ প্রসঙ্গে রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াং সিয়াও সং জানান, এদুটি ‘প্রথমবারের’ ঘটনা থেকে চীনের বিদেশি বাণিজ্যের উন্নয়নের স্থিতিশীলতা ও শক্তিশালী প্রাণশক্তি বোঝা যায়।
চীন কিভাবে এ সব সুফল অর্জন করেছে? দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে খেয়াল করলে বোঝা যায় যে, এর করণ হল চীনের সম্পূর্ণ উৎপাদন শিল্প সরবরাহ চেইন, বড় আকারের অর্থনীতি এবং প্রযুক্তির উচ্চগতি অগ্রগতি। চীনা পণ্যের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা শক্তি রয়েছে, যা অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক বাজারকে সম্প্রসারণ করার ভিত্তি নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া, চীনের অর্থনীতি সুষ্ঠু অবস্থায় রয়েছে, ব্যাপক বাজার, দৃঢ়তা ও সম্ভাবনাও বেশি। এ ছাড়া, সরকারের ইতিবাচক নীতিও অব্যাহত ভূমিকা রাখছে। চীনের বিদেশি বাণিজ্য উন্নয়নের ইতিবাচক উপাদান ক্রমশ বাড়ছে।