‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ উস্কানি যতদিন থাকবে চীনের মূল ভূখণ্ডের প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা ততদিন থাকবে
চীনের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে যে, তাইওয়ান হচ্ছে গণ-প্রজাতন্ত্রী চীনের পবিত্র ভূখণ্ডের অংশ। চীনের আইনে লেখা হয়েছে যে, ‘তাইওয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদী’ যে কোনো নামে, যে কোনো পদ্ধতিতে, চীন থেকে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করার কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য। ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা আইন’ অনুযায়ী গণ-মুক্তিফৌজের অন্যতম মিশন হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব, একত্রীকরণ ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করা। একটি দেশের সশস্ত্রবাহিনী নিজের ভূখণ্ডের আওতায় মহড়া চালিয়েছে, যা সার্বভৌম ক্ষমতার প্রকাশ।
উল্লেখ, গণ-মুক্তিফৌজের এবারের মহড়ার লক্ষ্য ‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদের’ উস্কানির প্রতিরোধ, ব্যাপক তাইওয়ানবাসী নয়। ‘তাইওয়ান বিচ্ছিন্নতা’ তাইওয়ান সাধারণ মানুষের কল্যাণের বিপরীত কাজ। যা কোনোভাবে সফল হবে না। লাই ছিং ত্যের এহেন ভাষণ একচীন নীতিকে চ্যালেঞ্জ করেছে, তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি নষ্ট করেছে এবং তাইওয়ানবাসীদের কল্যাণ গুরুতরভাবে নষ্ট করেছে। সম্প্রতি তাইওয়ানের নানা মহল এর সমালোচনাও করেছে। চীনের মূল ভূখণ্ডের এবারের প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা হচ্ছে তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং তাইওয়ানে অবস্থানরত চীনাদের কল্যাণ দৃঢ়ভাবে রক্ষার ব্যবস্থা।
শান্তি, উন্নয়ন, বিনিময় ও সহযোগিতা হচ্ছে তাইওয়ান প্রণালীর দুপারের চীনাদের অভিন্ন মনের ইচ্ছা। ‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতা’ তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং দুপারের চীনাদের কল্যাণের একেবারেই বিপরীত। ‘তাইওয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদের’ উস্কানি যত দিন থাকবে, গণ-মুক্তিফৌজের দৃঢ় প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা, এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষার কর্মকাণ্ড ততদিন থাকবে। লাই ছিং ত্য-সহ ‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ উস্কানি যত উন্নত হচ্ছে, তত দ্রুত তাদের মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে আসছে!