লাই ছিং ত্য’র ‘১০ অক্টোবরের’ ভাষণ বিচ্ছিন্নতাবাদের চিন্তাধারার বহিঃপ্রকাশ
ভিন্ন রাজনৈতিক পদ্ধতি একীকরণের বাধা হতে পারে না। তা অবশ্যই বিচ্ছন্নতার অজুহাতও হতে পারে না। তাইওয়ান প্রণালীর দুপারের চীনারা উভয়ই চীনা জাতি। এ ছাড়া অভিন্ন কল্যাণও রয়েছে। এক চীন নীতির ভিত্তিতে উভয় সংলাপ ও যোগাযোগ জোরদার করা গেলে, অবশ্যই সমস্যা সমাধান করা যাবে, অবশ্যই সঠিক পথে মাতৃভূমির সম্পূর্ণ একীকরণ বাস্তবায়ন করতে পারবে।
এ ছাড়া লাই ছিং ত্য ‘১৯১১-এর বিপ্লবের’ উজ্জ্বল ইতিহাস ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং মানুষকে পথভ্রষ্ট করার অপচেষ্টা করেছেন। ‘১৯১১-এর বিপ্লবের’ পতাকা ছিল ‘চীনের পুনর্জাগরণ’। শহীদরা দেশের একীকরণ ও জাতীর সমৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। লাই ছি ত্য ও ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তায় অবিচল রয়েছে। তাদের এহেন আচরণ দেশকে বিচ্ছিন্ন করছে, যা ‘১৯১১-এর বিপ্লবের’ চেতনার একেবারে বিপরীত বিষয়।
জনাব সান ইয়াত সেন আগে বলেছিলেন, একীকরণ হচ্ছে চীনের সব মানুষের আশা। যা বাস্তবায়ন হলে, গোটা দেশের মানুষ লাভবান হবে; না হলে, সবার ক্ষতি হবে। তা ছিল ‘১৯১১-এর বিপ্লবের’ শহীদদের মনের ইচ্ছা। যা গোটা চীনা জনগণের অভিন্ন মিশন। তাইওয়ান প্রণালীর দু’পারের গোটা চীনা জনগণ অবশ্যই হাতে হাত রেখে ‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী’ ও বাইরের হস্তক্ষেপের দৃঢ় বিরোধিতা করে এবং একযোগে মাতৃভূমির সম্পূর্ণ একীকরণ ও জাতিগত মহান পুনরুজ্জীবন বাস্তবায়ন করতে পারবে।