চীনের অর্থনীতির স্থিতিশীল অগ্রযাত্রা বিশ্বের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক: সিএমজি সম্পাদকীয়
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জাতীয় দিবসের ভোক্তা বাজারে অনেক নতুন প্রবণতা দেখিয়েছে। একদিকে বিভিন্ন নতুন ধারণা এবং নতুন প্রযুক্তির ক্ষমতায়নের কল্যাণে ডিজিটালাইজেশন, সবুজায়ন এবং একীকরণের দ্বারা চিহ্নিত নতুন ভোগ ভোক্তাদের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণ করে, অন্যদিকে ছুটির আগে প্রকাশিত একাধিক রিয়েল এস্টেট বাজারের নীতিগুলোর কারণে বাড়ি কেনাকাটাসহ বাল্ক ভোক্তাদের বিনিয়োগ পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখাচ্ছে। বেইজিং, শাংহাই, কুয়াংচৌ এবং শেনচেনসহ প্রথম-স্তরের শহরগুলোতে গ্রাহকদের বাড়ি কেনার আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
চীনের বাজার থেকে আসা ইতিবাচক সংকেতগুলো অনেক পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টার ফলাফল। এই বছরের জাতীয় দিবসের ছুটির প্রাক্কালে, চীনা সরকার রিজার্ভ প্রয়োজনীয়তা অনুপাতের হ্রাস এবং সুদের হার হ্রাসসহ একাধিক নীতি চালু করেছে, যা বাজারের আস্থাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলেছে এবং বাজারের সম্ভাবনাকে উন্মুক্ত করেছে। বৈশ্বিক পুঁজি চীনের সম্পদ ক্রয় অব্যাহত রেখেছে, এটি ইঙ্গিত করে যে, তারা চীনের অর্থনৈতিক নীতি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা সম্পর্কে আশাবাদী। এটি আরও নিশ্চিত করে যে, চীনের অর্থনীতির মৌলিক পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়নি এবং বিশাল বাজার, শক্তিশালী অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা এবং দুর্দান্ত সম্ভাবনার মতো অনুকূল অবস্থার পরিবর্তিত হয়নি।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে চীনের অর্থনীতির ক্রমাগত উন্নতি বিশ্বের জন্য সুসংবাদ। বর্তমানে, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সুরক্ষা তীব্রতর হচ্ছে, ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার মন্থর। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, বৈশ্বিক অর্থনীতি এ বছর ৩.২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, যা গত বছরের তুলনায় কম। এই পটভূমিতে চীনের অর্থনীতি ‘স্থিতিশীল’ এবং ‘গতিশীল’ যে প্রবণতা দেখিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রেরণা ও আশা নিয়ে আসে।
লিলি/হাশিম/রুবি