ক্রমাগত নতুন সবুজ অলৌকিক ঘটনার জন্ম: নয়াচীন প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীতে পরিবেশগত সুরক্ষা অর্জনের সারসংক্ষেপ
একই সময়ে, প্রাকৃতিক বন সুরক্ষা প্রকল্প এবং কৃষিজমি থেকে বন ও তৃণভূমিতে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রকল্প অনুর্বর পাহাড়কে সুন্দর দৃশ্যে এবং মরুভূমিকে মরুদ্যানে পরিণত করেছে।
আজ, চীন ভূমি ক্ষয়প্রাপ্তিতে ‘শূন্য প্রবৃদ্ধি’ অর্জনে বিশ্বে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং মরুভূমির ক্ষেত্র হ্রাস করেছে। চীনের বনভূমির হার বেড়ে ২৪.০২% হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী ‘সবুজায়নে’র প্রধান শক্তি হয়ে উঠেছে।
বিগত ৭৫ বছর ধরে, মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে সম্পর্ক ক্রমাগত পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে, এবং লাখ লাখ মানুষ সুন্দর পাহাড় ও নদীগুলোর সাথে একটি সমন্বিত বাড়ি তৈরি করার জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর থেকে, ধীরে ধীরে প্রকৃতি সংরক্ষণ, বন উদ্যান, মনোরম স্থান, প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের স্থান, ভূতাত্ত্বিক উদ্যান এবং মহাসাগর উদ্যানসহ সমস্ত স্তরে ও প্রকারে প্রায় ১০ হাজার প্রকৃতি সংরক্ষণাগার স্থাপন করা হয়েছে।
বর্তমানে, চীনের ৯০% ভূখণ্ডগত ইকোসিস্টেম এবং ৭৪% জাতীয় সুরক্ষিত বন্য প্রাণী ও উদ্ভিদ কার্যকরভাবে সুরক্ষিত আছে, মানুষ এবং প্রকৃতি সম্প্রীতিতে বাস করে এবং মাতৃভূমির পরিবেশগত নিরাপত্তা বাধা প্রতিনিয়ত নির্মিত হচ্ছে।
৭ই সেপ্টেম্বর হল ‘আন্তর্জাতিক পরিষ্কার বায়ু ও নীল আকাশ দিবস’। আজকের রাজধানী বেইজিংয়ে, লোকেরা আবিষ্কার করেছে যে তারা যে কোন স্থানে ছবি তুললে নীল আকাশ এবং সাদা মেঘ দেখতে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বায়ুর গুণমান উন্নত করার ক্ষেত্রে চীনের অর্জনগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশেষ করে, বেইজিংয়ের বায়ু ব্যবস্থাপনা অসাধারণ ফলাফল অর্জন করেছে এবং জাতিসংঘের পরিবেশ প্রোগ্রাম ‘বেইজিং অলৌকিক’ হিসাবে সমাদৃত হয়েছে।
ক্রমাগত প্রচেষ্টার পর, ২০২৩ সালে সারাদেশে মোট ২০৩টি শহরের বায়ু মানদণ্ডে পৌঁছেছে। নীল আকাশ এবং সাদা মেঘ আদর্শ হয়ে উঠেছে, এবং চীন বিশ্বের বায়ু মানের দ্রুততম উন্নতির দেশে পরিণত হয়েছে।