বিদেশী বিনিয়োগকারীরা যে-কারণে ‘চীনের আরও কাছাকাছি যেতে’ চান
সেপ্টেম্বর ১২: ‘বিগত ২৫ বছরে, আমি প্রতিবার একই লক্ষ্য নিয়ে এক ডজন বার চীনে এসেছি, আর তা হল চীনের আরও কাছাকাছি যাওয়া।’ সম্প্রতি চীনের সিয়ামেনে অনুষ্ঠিত ২৪তম চীন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্য মেলায় জার্মানির একটি মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ডোরিন সিএমজি-কে এ কথা বলেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, চীন বিশ্বের বৃহত্তম বাজারগুলোর মধ্যে একটি এবং একে উপেক্ষা করে বৈশ্বিক বাজারে নেতৃত্বের আসন পাওয়া কঠিন।
সিয়ামেন মেলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, হাইড্রোজেন শক্তি, এবং ইন্টারনেট অফ থিংসসহ বহু নতুন শিল্প আকৃষ্ট হয়। ১২০টি দেশ ও অঞ্চলের ৮০ হাজার ব্যবসায়ী এতে অংশগ্রহণ করেন। প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুসারে, মেলা চলাকালে ৪৮৮৮টি প্রকল্পচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মোট আর্থিক মূল্য ৪৮৮৯২ কোটি ইউয়ান। আন্তর্জাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা বলছেন, চীনা বাজার মিস করার উপায় নেই; ‘চীনে বিনিয়োগ’ এখন অনিবার্য একটি ব্যাপার।
চীনের বড় বাজার সবসময় বিশ্বের জন্য একটি বড় সুযোগ। চীনা বাজারের কিছু নতুন বৈশিষ্ট্যও দেখা যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, উত্পাদনে দিক থেকে শিল্প গ্যাসকে আধুনিক শিল্পের ‘রক্ত’ বলা হয়। মার্কিন শিল্প গ্যাস সংস্থা এয়ার প্রোডাক্টস চীন-এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফেং ইয়ান শার্প বলেন, ‘চীন একটি বিস্তৃত সবুজ রূপান্তর প্রচার করছে। এখানে পরিষ্কার শক্তির বিকাশ ও ব্যবহার হচ্ছে; কার্বন ক্যাপচার ও স্টোরেজের সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে; শিল্প গ্যাস প্রযুক্তি প্রয়োগের জন্য একটি বিশাল বাজার তৈরি করা হচ্ছে।’ ভোক্তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, চীনের ভোক্তা-ধারণা ক্রমশ উন্নত হচ্ছে; উচ্চমানের পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহের চেষ্টা চলছে। চীনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন চেম্বার অফ কমার্সের ভাইস চেয়ারপারসন গাও ঝিহাও বলেন, চীনা গ্রাহকরা স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্স, স্বাস্থ্যকর পণ্য, সবুজ ব্যয়, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আরও বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। অনেক বিদেশী বিনিয়োগকারী বিশ্বাস করেন যে, চীনে বিনিয়োগ করা চীনের নতুন মানের উত্পাদনশীলতার সাথে অনুরণন করছে।