চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের উন্নয়নের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ
মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাম্প্রতিক চীন সফর বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের যে প্রচেষ্টা চলছে, তা কেবলমাত্র এই দুই দেশের জন্যই নয়, বরং বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রভাব এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা ও মতবিরোধ নিষ্পত্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে বেইজিংয়ের গণ-মহাভবনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান। এ সময় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেন, পরিবর্তনশীল ও জটিল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির সামনে বিভিন্ন দেশের উচিত একতা ও সমন্বয় জোরদার করা, বিভেদ ও সংঘাত বন্ধ করা। তিনি বলেন, দ্বার রুদ্ধ করা ও পিছনে ফিরে যাবার পরিবর্তে উন্মুক্তকরণ ও অগ্রগতি প্রত্যাশা করে মানুষ। দুটি বড় দেশ হিসেবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইতিহাস, জনগণ ও বিশ্বের প্রতি দায়িত্ব পালন করা। দু’দেশকে বিশ্বের শান্তি ও অভিন্ন উন্নয়নে কাজ করা উচিত বলেও উল্লেখ করেন চীনের প্রেসিডেন্ট। তার আগে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য, সিপিসি’র বিদেশ বিষয়ক কার্যালয়ের মহাপরিচালক ওয়াং ই বেইজিংয়ে সালিভানের সঙ্গে ‘নতুন দফা কৌশলগত বিনিময়’ আয়োজন করেন। দু’পক্ষ এতে আন্তরিক ও গঠনমূলক আলোচনা করেছে। দু’পক্ষের আলাপ আলোচনা থেকে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। যেমন-
১. বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা: চীন ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে অন্যতম। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন বৈশ্বিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ট্যারিফ ও বাণিজ্য বাধা কমানো, পারস্পরিক বিনিয়োগে সহযোগিতা এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্রে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে। একটি সুস্থ বাণিজ্যিক সম্পর্ক কেবল দ্বিপাক্ষিক নয়, বরং বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে।