বড় আকারের ডোপিং ইস্যুতে বিশ্বকে একটি ব্যাখ্যা দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের: সিএমজি সম্পাদকীয়
এসব মন্তব্য এবং আহ্বান আমেরিকান ক্রীড়াগুলোতে বৃহৎ আকারের, সংগঠিত ও পদ্ধতিগত ডোপিংয়ের গুরুতর সমস্যা নিশ্চিত করেছে। আন্তর্জাতিক সমাজ স্পষ্টভাবে দেখেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র তার তথাকথিত ‘সুবিধাপূর্ণ’ অবস্থান বজায় রাখার জন্য সম্ভাব্য সব উপায় ব্যবহার করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক দমন বেড়ে যাচ্ছে। তথাকথিত ‘ডোপিং ঘটনা’ প্রচার করা এবং চীনা ক্রীড়াবিদ ও চীনের জাতীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করাও অন্যতম পদ্ধতি হয়ে উঠেছে। ক্রীড়ার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় নিজেকে ‘ক্রীড়া খাতে আধিপত্যকারী’ হিসেবে বিবেচনা করে এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতাকে তার নরম শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীন ও অন্যান্য দেশের প্রতিযোগিতার স্তরের উন্নয়ন অব্যাহত থাকায় ট্র্যাক ও ফিল্ড এবং সাঁতারসহ যুক্তরাষ্ট্রের কিছু ঐতিহ্যবাহী সুদক্ষ প্রতিযোগিতায় তাদের সুবিধা হ্রাস পেয়েছে। অনেক মার্কিনী এ নিয়ে চিন্তিত হয়ে ওঠেন।
জানা গেছে, গত জানুয়ারির শুরু থেকে প্যারিস অলিম্পিকের প্রাক্কালে, চীনা সাঁতার দলের প্রতিটি সদস্য গড়ে ২১টি অ্যান্টি-ডোপিং অর্গানাইজেশন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, মার্কিন দল এবং অস্ট্রেলিয়ান দল যথাক্রমে গড়ে ৬টি এবং ৪টি পরীক্ষায় নিয়েছিলো। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির মুখপাত্র মার্ক অ্যাডামস বলেন, চীনা সাঁতার দল ‘বিস্তৃত পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গেছে।
আমেরিকান আধিপত্য দ্বারা অলিম্পিকের চেতনাকে কলঙ্কিত করা যাবে না এবং ডোপিং বিরোধী কাজের মাধ্যমে অন্য দেশকে অসম্মান ও দমন করার হাতিয়ার বানানো যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং রেগুলেশন গুরুতর লঙ্ঘনকারী আচরণ নিয়ে প্রাসঙ্গিক সংস্থাগুলোর স্বাধীন তদন্ত চালানো প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই ‘লং আর্ম জুরিসডিকশন’ বন্ধ করতে হবে, তার নিজের সমস্যা সমাধান করতে হবে, বিশ্বকে বৃহৎ আকারের ডোপিং ঘটনার একটি ব্যাখ্যা দিতে হবে, ন্যায্য প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ক্রীড়াবিদদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে এবং অলিম্পিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে।
লিলি/তৌহিদ/সুবর্ণা