ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের তথ্য বের হচ্ছে, উত্তেজনা বাড়ছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির আশা মলিন হয়ে যাচ্ছে
ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যা এবং গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের জন্য শুক্রবার "বিক্ষুব্ধ ক্রোধের দিন" ঘোষণা করেছে। বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, হানিয়াহের হত্যা গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির আশাকে ম্লান করে দিয়েছে। পাশাপাশি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বিরোধ এখন ইরানকে সরাসরি জড়িয়ে ফেলছে। সেই সঙ্গে আরও অনেক পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে যেতে পারে। যা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনায় আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করছে। এ সম্পর্কে চীনের গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনের বিশ্লেষণে নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তার সংক্ষিপ্তসার উল্লেখ করা হলো।
হানিয়ার হত্যার পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর "প্রতিটি মসজিদ থেকে গর্জনকারী ক্রোধ মিছিল..." বের করে হামাস। শুক্রবার দোহার উত্তর লুসাইলে একটি কবরস্থানে হানিয়াহকে দাফন করা হয়। হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের আরও বিশদ তথ্য সাম্প্রতিক দিনগুলিতে বের হয়ে এসেছে। তথ্যে দেখা যায় যে, তিনি একটি দূর নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরক যন্ত্রের মাধ্যমে নিহত হন; যা জুন মাসে ইরানের তেহরানে তার গেস্টহাউসে গোপনে স্থাপন করা হয়েছিল; কোনো বিমান হামলায় নয়। জেরুজালেম পোস্ট অনুসারে বোমাটিতে অত্যাধুনিক দূরবর্তী প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল।
ইরান সরকার এবং হামাস এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছে। ইসরায়েল তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি। ইরানকে আরও সংঘাতে টেনে নিয়ে, ইসরায়েল এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক সংঘর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে টেনে আনতে চায়, যাতে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকাকে আরও গভীরভাবে সংযুক্ত করা যায় এবং এটিকে তার কৌশলগত ফোকাস অন্য এলাকায় স্থানান্তরিত করা থেকে বিরত রাখা যায়। এ মন্তব্য করেছেন ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যপ্রাচ্য স্টাডিজের পরিচালক সুন ত্যকাং।