বাংলা

‘চীনের নতুন যুগে সংস্কার গভীরতর করা বিশ্বের সুযোগ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সংলাপ কেনিয়ায় আয়োজিত

CMGPublished: 2024-07-31 15:21:24
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জুলাই ৩১: চায়না মিডিয়া গ্রুপ বা সিএমজি’র উদ্যোগে ‘চীনের নতুন যুগে সংস্কার গভীরতর করার বৈশ্বিক সুযোগ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সংলাপ সম্প্রতি কেনিয়ায় আয়োজন করা হয়। চীনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার বিষয়ক উপমন্ত্রী ও চায়না মিডিয়া গ্রুপের মহাপরিচালক শেন হাই সিয়োং সংলাপে ভাষণ দিয়েছেন। কেনিয়ায় চীনা রাষ্ট্রদূত চৌ ফিং চিয়ান সংলাপে উপস্থিত ছিলেন। কেনিয়ার নাইরোবি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী চ্যান্সেলর স্টিফেন প্যাট্রিক মালুকি, আফ্রিকার চীন বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক কিয়ামা গীতাহি, কেনিয়া আফ্রিকা নীতি গবেষণালয়ের পরিচালক পিটার কাগওয়াঙ্গা, কেনিয়া-চীন প্রাক্তন ছাত্র সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান জোসেফ মেরিটাইম এবং কেনিয়া সম্পাদক সমিতির প্রধান নির্বাহী পরিচালনা এডিটরস গিল্ড রোজালিয়া ওমঙ্গো এবারের সংলাপে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা চীন ও আফ্রিকা যৌথভাবে নতুন যুগে সংস্কার গভীর করার মাধ্যমে বিশ্বের সুযোগগুলো নিয়ে মতবিনিময় করেছেন।

শেন হাই সিয়োং বলেছেন, নতুন যুগে চীন নিজের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন দিয়ে জাতিগত সমৃদ্ধি ও শক্তিশালী রাষ্ট্র নির্মাণ জোরদার করা হয়েছে। এটি অবশ্যই মানবজাতির আধুনিকায়ন ও আরো ভাল সামাজিক ব্যবস্থা গঠনে সহায়তা করবে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে ও নতুন চালিকাশক্তি যোগাবে।

জনাব শেন আরো বলেন, আন্তর্জাতিক প্রথম শ্রেণীর নতুন মূলধারার গণমাধ্যম হিসেবে সিএমজি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। ধারাবাহিক মিডিয়া পণ্য তুলে ধরে বিশ্বের কাছে চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের প্রাণবন্ত জীবনীশক্তি ও চমৎকার অনুশীলন দেখাচ্ছে। সিএমজি বিভিন্ন মহলের ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতা চালিয়ে যৌথভাবে মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ এবং আরো সুন্দর ভবিষ্যত্ গড়ে তোলার চেষ্টা করতে চায়।

স্টিফেন কিয়ামা গীতাহি মনে করেন, চীন উচ্চ মানের উন্নয়ন দিয়ে সার্বিকভাবে চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন উন্নীত করলে বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত সহযোগিতার আরো বড় প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠবে। আফ্রিকা চীনা সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ এবং আধুনিকায়ন নির্মাণ থেকে মূল্যবান অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে চায়।

প্যাট্রিক মালুকি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থনৈতিক কাঠামো পরিবর্তন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে চীনের চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়েছে। এটি বিশ্বের কাছে চীনা বুদ্ধি ও চীনা পরিকল্পনা তুলে ধরেছে। আফ্রিকান দেশগুলোর পুরোপুরি আফ্রিকা-চীন সহযোগিতার সুপ্তশক্তি উন্নীত করে যৌথভাবে আরো ন্যায্য, সমতা ও বহুমুখী বিশ্ব গড়ে তুলতে পারবে।

পিটার কাগওয়াঙ্গা বলেন, বর্তমান কিছু পশ্চিমা দেশ বাণিজ্যিক বাধা প্রতিষ্ঠা করেছে। আর চীন বিশ্ব উন্নয়নের প্রস্তাব দিয়েছে। এটি বিশ্বের টেকসই উন্নয়নের চিন্তাধারা ও জ্ঞান প্রদান করে। আফ্রিকান দেশগুলো আরেক ধাপে চীনের সংস্কার গভীরতর করার সুযোগে চীনের সঙ্গে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা জোরদার করতে পারে এবং অভিন্ন উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে পারবে।

রোজালিয়া ওমঙ্গো বলেন, চীনা গণমাধ্যমগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করা আরো কার্যকর সভ্যতা যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়ক। এটি অভিন্ন সমৃদ্ধির ভিত্তিতে বহুমেরুর বিশ্ব প্রতিষ্ঠার জন্য আরো বেশি সুযোগ তৈরি করবে।

অংশগ্রহণকারীরা যৌথভাবে সিএমজি’র সিজিটিএন-এর প্রকাশিত ‘নতুন যুগে সি চিন পিং চীনকে নতুন ও ব্যাপক গভীর সংস্কারের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন’ শীর্ষক তথ্যচিত্র দেখেছেন। সিজিটিএন-এর স্ট্যাডিং উপ-সম্পাদক-প্রধান এবং এশিয়া ও আফ্রিকা আঞ্চলিক ভাষা কেন্দ্রের পরিচালক আন সিয়াও ইউ অতিথিদেরকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি সিপিসি’র কুড়িতম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের চেতনা ও গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকের তাত্পর্য তুলে ধরেন।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn