প্রেসিডেন্ট সি’র দূরদর্শী নির্দেশনা: চীন-লাতিন আমেরিকা সহযোগিতার নতুন যাত্রা
২০২৩ সাল থেকে, সি ব্রাজিল, ভেনিজুয়েলা, চিলি, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, পেরু এবং অন্যান্য লাতিন আমেরিকান দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে মুখোমুখি বৈঠকে বা চিঠি, বার্তা এবং ফোন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন। ‘সহযোগিতা’ এবং ‘উন্নয়ন’ হচ্ছে এসব যোগাযোগে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত শব্দ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, পানামা, ডোমিনিকা, এল সালভাদর, নিকারাগুয়া এবং হন্ডুরাস— এ পাঁচটি লাতিন আমেরিকার দেশ চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন বা পুনঃস্থাপন করেছে। চীন এবং লাতিন আমেরিকার ক্রমবর্ধমান অংশীদাররা চীন-লাতিন আমেরিকা সম্পর্কের একটি নতুন প্যাটার্ন তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করছেন।
চীন এবং লাতিন আমেরিকা শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য পরিপূরকতা উপভোগ করেছে। ২০১২ সাল থেকে চীন, লাতিন আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। গত বছর চীন এবং লাতিন আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৪৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীন-লাতিন আমেরিকা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা প্রথাগত ক্ষেত্র থেকে নতুন শক্তি, ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং আন্তঃসীমান্ত ই-কমার্সে প্রসারিত হয়েছে।
পেরু, চিলি, কোস্টারিকা, ইকুয়েডর এবং নিকারাগুয়ার সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করেছে চীন। এখনও পর্যন্ত, লাতিন আমেরিকায় চীনের মুক্ত বাণিজ্য অংশীদারের সংখ্যা এশিয়ার পরেই দ্বিতীয়।
এই বছর, চীন-হন্ডুরাস মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে পঞ্চম দফা আলোচনা হয়েছে এবং পেরুর সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আপগ্রেড করার বিষয়ে সারগর্ভ আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে।
চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ রেনজো বুরোত্তো বলেন, চীন ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক অত্যন্ত পরিপূরক।
বুরোটো বলেন, চীন, লাতিন আমেরিকার অন্যতম প্রধান বাণিজ্য অংশীদার, পণ্য ও মূলধনের সরবরাহকারী এবং নবায়নযোগ্য শক্তির মতো শিল্পের বিকাশের জন্য একটি কৌশলগত অংশীদার।
প্রেসিডেন্ট সি বহুবার জোর দিয়ে বলেছেন যে চীন, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভে’র (বিআআই) আওতায় লাতিন আমেরিকার সাথে কাজ করতে এবং সহযোগিতার উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে ইচ্ছুক।
এখন পর্যন্ত ২২টি লাতিন আমেরিকান এবং ক্যারিবিয়ান দেশ চীনের সাথে বিআরআই সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করেছে, যা সেসব দেশের জনগণকে উপকৃত করেছে।
মাহমুদ হাশিম
সিএমজি বাংলা, বেইজিং।