চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের উজ্জ্বল ভবিষ্যত উন্মোচন
জুলাই ২৩: গত ১৮ জুলাই চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিসি’র ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন বেইজিংয়ে শেষ হয়েছে। এবারের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য হল: আরো সার্বিকভাবে সংস্কার গভীরতর করা এবং চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন জোরদার করা।
এ সম্বন্ধে চীনের সিপিসি’র ইতিহাস ও সাহিত্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ছুই ছিং সান বলেন, ১৯৭৮ সালে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি চালু হওয়ার পর থেকে, সিপিসি’র ইতিহাসে তিনটি ‘তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন’ খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমটি হল ১৯৭৮ সালে আয়োজিত সিপিসি’র ১১তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। যা সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ এবং সমাজতন্ত্রের আধুনিকায়নের নতুন পর্যায় উন্মোচন করেছে। দ্বিতীয়টি হল, ২০১৩ সালে আয়োজিত সিপিসি’র ১৮তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। যা নতুন যুগে সার্বিকভাবে সংস্কার গভীরতর করার যাত্রা শুরু করেছে। তৃতীয়টি হল, এইমাত্র শেষ হওয়া সিপিসি’র ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। এতে বলা হয়েছে যে, আরো সার্বিকভাবে সংস্কার গভীরতর করতে হবে, চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন এগিয়ে নিতে হবে। তা যুগান্তকারী একটি ব্যাপার।
সিপিসি’র অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে, কঠোর আন্তর্জাতিক পরিবেশ ও অভ্যন্তরীণ সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের সামনে, সি চিন পিং-কেন্দ্রিক সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটি জনগণের নেতৃত্ব দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা স্পষ্ট দেখতে পাই যে, সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ হল সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি, যা চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র বিকাশের একমাত্র উপায় এবং এটি সমসাময়িক চীনের ভাগ্য নির্ধারণের চাবিকাঠি। এই পদক্ষেপটিও একটি মূল পদক্ষেপ যা চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ধারণ করে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে চীন সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য অনেক অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছে; সিপিসি ও দেশের আধুনিকীকরণ অর্জনের জন্য সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের উপর নির্ভর করছে, চীনকে একটি শক্তিশালী আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলা সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের অবিচ্ছেদ্য অংশ।