নতুন যুগে চীনের সংস্কারনীতি ও প্রসঙ্গকথা
সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ নীতি মৌলিক জাতীয় নীতি হিসেবে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বাস্তবায়নের মাধ্যমে অসাধারণ ফলাফল অর্জিত হয়েছে। ২০১২ সালের পর সি চিন পিং ‘উন্মুক্ত উন্নয়ন’ ধারণা উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, চীনের উন্মুক্তকরণ হবে সার্বিক ও সব দিক দিয়ে উন্মুক্তকরণ।
উন্মুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সি চিন পিংয়ের ‘উন্মুক্ত উন্নয়ন’ ধারণার একটি মৌলিক বিষয়। তিনি ব্যবস্থাগত ও কাঠামোগত বাধা ভেঙ্গে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন; অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকা ও অবাধ বন্দর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণের প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেন। একই সঙ্গে, চীন অব্যাহতভাবে বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিদেশী বিনিয়োগসংক্রান্ত আইন সুসম্পন্ন করেছে; আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও রক্ষাব্যবস্থা জোরদার করেছে।
সি চিন পিং বলেছেন, চীনের উন্নয়নকে বিশ্ব থেকে আলাদা করা যাবে না; বিশ্বের সমৃদ্ধিও চীনের প্রয়োজন। চীন কল্যাণমূলক উন্মুক্তকরণ নীতিতে অবিচল থাকবে। বিশ্বের কাছ থেকে উন্নয়নের চালিকাশক্তি গ্রহণ করার পাশাপাশি, চীনের উন্নয়ন থেকে বিশ্বও উপকৃত হবে ও হচ্ছে।
নতুন যুগে চীন দৃঢ়ভাবে বহুপক্ষবাদ ব্যবস্থা রক্ষা করা ও সংরক্ষণবাদের বিরোধিতা করা; জাতিসংঘ, জি-২০, ব্রিক্স ইত্যাদি আন্তর্জাতিক ও বহুপাক্ষিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় জোরদার করা; এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা গভীরতর করার মতো কার্যক্রমের মাধ্যমে, সক্রিয়ভাবে বৈশ্বিক পরিচালনাব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করছে ও বিশ্বের উন্মুক্তকরণের পক্ষে কথা বলে যাচ্ছে।
সি চিন পিং উত্থাপিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিন্ন স্বার্থে কাজ করছে। বর্তমানে ১৫০টিরও বেশি দেশ ও ৩০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা এই উদ্যোগে যোগ দিয়েছে; এ উদ্যোগের আওতায় ৩ সহস্রাধিক সহযোগিতা-প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে; প্রায় ৪ কোটি মানুষ এর মাধ্যমে দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে।
সি চিন পিং বলেন, উন্মুক্তকরণ হল মানবজাতির অগ্রগতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি এবং বিশ্বের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের একমাত্র পথ। চীনের উন্মুক্তকরণ বিশ্বের উন্নয়নে শক্তিশালী প্রাণশক্তি যুগিয়ে যাচ্ছে ও যাবে।