এসসিও’র ২৪তম শীর্ষসম্মেলনের কিছু উল্লেখযোগ্য দিক
অন্যান্য রেজোলিউশন ও চুক্তি:
সংস্থার রাষ্ট্র প্রধানদের কাউন্সিলে সদস্যরা বেশ কয়েকটি রেজুলেশন গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে:
২০২৫-২০২৭ সাল নাগাদ সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও চরমপন্থা মোকাবিলায় সহযোগিতা কর্মসূচি। পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য মাদকবিরোধী কৌশল এবং এর সাথে সম্পর্কিত অ্যাকশন প্রোগ্রাম। ২০৩০ সাল পর্যন্ত শক্তি খাতে সহযোগিতার কৌশল এবং ২০৩০ সাল নাগাদ অর্থনৈতিক উন্নয়ন কৌশলের কর্ম পরিকল্পনা।
সংস্থার প্রকল্পের কার্যক্রমে অর্থায়ন ব্যবস্থাও উল্লেখযোগ্য। সংরক্ষিত এলাকা এবং ইকো-ট্যুরিজম খাতে সহযোগিতার উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগকারীদের সংগঠন এবং কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সংস্থার সদস্য দেশের সরকারগুলির মধ্যে পরিবেশ সুরক্ষা সহযোগিতায় সম্মত হয়েছে।
চীন পরবর্তী মেয়াদের জন্য সংস্থার পালাক্রমিক সভাপতি রাষ্ট্র। সাত বছর পর ফের চীন এ দায়িত্ব গ্রহণ করছে। সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এবং এর মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
আস্তানায় ২৪তম এসসিও শীর্ষসম্মেলন আঞ্চলিক রাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। বেলারুশ সংস্থাটির ১০ম সদস্য হিসাবে যোগদান করেছে৷ শীর্ষসম্মেলনে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রচার, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং একটি নতুন আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গঠনে এসসিও’র ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে বেশ কিছু কৌশলগত নথি ও ঘোষণাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এসসিও। সংস্থাটি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধিতে নিবেদিত। এসসিও'র মাধ্যমে আঞ্চলিক অবকাঠামো উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় সহযোগিতা করে; যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতি ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংস্থাটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি করে আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সংগঠনটি প্রসারিত এবং শক্তিশালী হওয়ার সাথে সাথে আঞ্চলিক রাজনীতি এবং অর্থনীতির ভবিষ্যত গঠনে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।